সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলোর যে বৃহত্তর ঐক্য হওয়ার কথা ছিল সেটা আপাতত হচ্ছে না , বি এন পি সাফ জানিয়ে দিয়েছে তাদের পক্ষে যুক্তফ্রন্ট এবং ঐক্য প্রক্রিয়ার শর্ত গুল মানা সম্ভব নয় , বি এন পি মনে করে বি এন পি র রাজনীতি নিয়ন্ত্রন করা অন্যকোন দলের কাজ নয় , তবে তারা যুগপৎ আন্দোলনে যুক্তফ্রন্ট বা ঐক্য প্রক্রিয়া আসলে তাকে স্বাগত জানাবে । এর থেকে মনে হয় এক মঞ্চে বি এন পি আসছে না , আর এক মঞ্চে না আসলে আগামী নির্বাচনে ওই দুই রাজনৈতিক ফ্রন্টের সাথে আসন বণ্টন বিষয়ে আর কিছু থাকছে না , আর নির্বাচনী সমঝোতা না হলে যুক্তফ্রন্ট বা ঐক্য প্রক্রিয়ার কোন নেতা বা সদস্য নির্বাচিত হওয়া কঠিন হয়ে পড়বে । রাজনৈতিক মহলে একটা কথা চালু আছে একটি বৃহত্তর ঐক্য গঠনে কয়েক জন বিশিষ্ট ব্যক্তি নেপথ্যে কাজ করেছেন তাদের মধ্যে ডাক্তার জাফর উল্লাহ এবং ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনও আছেন । জাফর উল্লাহ সম্পর্কে বি এন পি র পজটিভ থাকলেও মইনুল হোসেন সম্পর্কে বি এন পি র বিরূপ ধারনা আছে ,তিনি কেয়ার টেকার সরকার আমলে দুই নেত্রীর মাইনাস ফর্মুলার সাথে যুক্ত ছিলেন । বি এন পি যেঁ জামাত ছাড়ছে না তা বি এন পি র নীতি নির্ধারকরা রবিবারের জনসভায় স্পষ্ট করেছেন , ভোটের হিসাবে জামাত ওই দুই ফ্রন্টের চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ , এটাই নীতি নির্ধারকদের ধারনা । সামনে ভোট তাই ভোটের হিসাবটাই তাদের কাছে মুখ্য । তা ছাড়া যে কোন ঐক্যে বি এন পি র বাইরের কাউকে আন্দোলন বা নির্বাচনে প্রধান নেতা বি এন পি মানবে না এটাই স্বাভাবিক, উপরের লেভেলের নেতারা মানলেও কর্মীরা খালেদা জিয়াকেই তাদের নেতা মনে করে । বি এন পি র এই দুঃসময়ে বি এন পি খুব সতর্কতার সাথে অগ্রসর হচ্ছে ,খালেদা জিয়া কারাগার থেকে বার্তা পাঠিয়েছেন ২০ দলীয় ঐক্য জোট অটুট রেখেই বৃহত্তর ঐক্য গঠন করতে, খালেদার এই বার্তাকেই অনুসরন করছে বি এন পি র হাইকমান্ড এর বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ তাদের নেই ।তবে রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই, আগামীতে নতুন কিছু ঘটলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই ।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading