পরিবহন ধর্মঘটের কারণে গণসমাবেশকে কেন্দ্র রাজশাহীতে বিএনপির নেতাকর্মীরা দুই দিন আগে থেকেই আসতে শুরু করেছেন।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাত থেকে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে পৌঁছাতে শুরু করেছেন। সমাবেশস্থলে ঢুকতে পুলিশের বাধা থাকায় পাশেই ঈদগাহ মাঠে অবস্থান নিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন জেলে উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে নগরীতে প্রবেশ করে। সিএনজি, অটোরিকশা, ট্রাক, পিকআপ ভাড়া করে, ট্রেনে করে, কেউ পাঁয়ে হেটে মিছিল নিয়ে রাতেই সমাবেশস্থলে পৌঁছেন।
রাজশাহীর ঈদগাহ মাঠে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা ত্রিপল বিছিয়ে ছামিয়ানা টাঙ্গিয়ে রাত কাটিয়েছেন। এক পাশে চলছে রান্নার কাজ।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা থেকে বৃহস্পতিবার সমাবেশস্থলে এসেছেন ষাটোর্ধ তবিবুর রহমান। তিনি জানান, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সিএনজি, অটোরিকশা, পায়ে হেঁটে পুলিশের বাধা পেরিয়ে রাজশাহী আসতে সময় লেগেছে ১২ ঘন্টা। এখানে এসে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গতকাল গণসমাবেশস্থল পরিদর্শন করতে গিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদারসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশে আসতে পথে পথে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন।
মিজানুর রহমান মিনু সাংবাদিদের বলেন, “শত বাধার পরেও রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল হবে। গণসমাবেশ বানচাল করতে নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে সরকারি দলের নেতারা। বুধবার রাত থেকেই রাজশাহীর প্রবেশপথে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। যানবাহন থেকে নামিয়ে দিয়ে নেতাকর্মীদের নিদারুণ কষ্ট দিচ্ছে। নেতাকর্মীরা সব বাধা উপেক্ষা করে রাজশাহী শহরের প্রবেশ করছেন।”
গণসমাবেশের জন্য মাদ্রাসা মাঠে ডেকোরেশেনের কাজ শুরু করলে তাঁবু ও ডেকোরেশনের উপকরণ ভেঙে ফেলা হয়। নেতাকর্মীদের মারপিট করে মাদরাসা মাঠ থেকে বের করে দেয় পুলিশ।
মিজানুর রহমান মিনু আরও বলেন, “সমাবেশস্থলে ঢুকতে না দেওয়ায় এরই মধ্যে মাদ্রাসা মাঠ এলাকা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীতে ভরে গেছে। পাশেই কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে তাঁবু টাঙ্গিয়ে রাত্রিযাপন করছেন। সেখানে রান্না খাওয়া দাওয়ার কাজ চলছে।”
সুত্র, ইউএনবি ।