‘নাশতা খেতে যাওয়াই কাল হলো বাবা-ছেলের। ক্ষুধাই তাদের নিয়ে গেলো আল্লাহর কাছে।’ সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-সন্তান হারিয়ে বুক চাপড়ে এভাবে বিলাপ করছিলেন তাওহিদা খাতুন।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ব্যাগারিতলা কন্দপপুর গ্রামের নিহত হাবিবুর রহমান ও তার ছেলে তাশিদ রহমানের বাড়িতে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। চলছে স্বজনদের বুকফাটা আহাজারি। সাত বছরের শিশু তাশিদের মরদেহের পাশে বসে আহাজারি করছেন তার মা তওহীদা খাতুন।
বুক চাপড়ে তাওহিদা বলেন, ‘আমার ছেলে প্রতিদিন সকালে পরোটা খাওয়ার জন্য বায়না ধরে। ওর বাবা প্রতিদিনের মতো আজকে সকালেও ছেলেকে কোলে করে হোটেলে পরোটা খেতে যাচ্ছিল। এর মধ্যে শুনলাম যে রাস্তায় নাকি দুর্ঘটনা হয়েছে। আমিও বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে দেখি আমার ছেলের মাথা দিয়ে অনর্গল রক্ত পড়ছে। ওর বাবাও রক্তে লাল হয়ে গেছে। দুজনই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বুকের ধনকে গাড়ি কেড়ে নিলো। আল্লাহ তাদের বিচার করবে ঠিক একদিন।’
শুক্রবার সকালে মনিরামপুরের ব্যাগারিতলা এলাকায় কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হোটেল ঢুকে পাঁচজন নিহত হন। এদের মধ্যে বাবা-ছেলের পরিচয় মিললেও বাকিদের তথ্য এখনো জানা যায়নি।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. মনিরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, কাভার্ডভ্যানটি রাস্তা ছেড়ে অন্তত ১০টি দোকানে আঘাত করেছে। এতে পাঁচজন প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে বাবা-ছেলেও আছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।