দ্বীপরাষ্ট্র হাইতিতে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ২৯৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচ হাজার ৭০০ জন। এ ছাড়া অসংখ্য মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে।

হাইতির স্থানীয় সময় শনিবার সকালে (১৪ আগস্ট) শক্তিশালী এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে বাড়ি, গির্জা, হোটেলসহ অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভূমিকম্পের কারণে বহু মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। ফলে তাদের খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে অসংখ্য মানুষের চিকিৎসা দেয়া হয়। সময়ের ব্যবধানে মৃতের সংখ্যা বাড়তেই থাকে।

উদ্ধারকারীরা এখনো ধ্সংস্তূপ থেকে জীবীতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়েছে যাচ্ছেন। স্থানীয়রাও উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছেন। অ্যাংলিকান চার্চের প্রধান আর্কডিয়াকন আবিয়াদে বলেন, ‘রাস্তায় শুধু মানুষের চিৎকার আর চিৎকার। সবাই শুধু প্রিয়জনকে খুঁজছেন, খুঁজছেন নিরাপদ আশ্রয়।’

দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি এই ভূমিকম্পকে ‘ব্যাপক ক্ষতি’ আখ্যায়িত করে এক মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। এছাড়া তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন এবং দেশবাসীকে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, হাইতির সেন্ট লুইস দু সুদ শহরের ১২ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎপত্তি। এ জায়গাটি রাজধানী পোর্ট–অ–প্রিন্স থেকে ১৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে। পোর্ট–অ–প্রিন্সেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

ইউএসজিএস জানিয়েছে, হাইতির প্রতিবেশী দেশগুলোতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

এদিকে ভূমিকম্পের পরপরই হাইতির প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের পরিচালক সামান্থা পাওয়ারকে হাইতিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হাইতির পামে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

২০১০ সালে দেশটির ইতিহাসে ভয়াবহতম ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। দেশটির অবকাঠামো ও অর্থনীতিও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading