গ্রেফতারের জন্য সামরিক বাহিনীর প্রধানকে দায়ী করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে সেনাপ্রধান এ কাজ করেছেন বলে অভিযোগ তার।

ব্রিটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেন, আমার আটকের পেছনে সামরিক বাহিনী রয়েছে- এতে কোনো সন্দেহ নেই। পাকিস্তান শাসন করছে এখন সেনাপ্রধান। আমাদের ওপর যে অত্যাচার ও ধরপাকড় চালানো হয়েছে তা সেনাপ্রধানই করেছেন।

ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে সেনাপ্রধান এ কাজ করেছেন অভিযোগ করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর অগণতান্ত্রিক এবং দায়িত্বহীন আচরণ পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে।

ইমরান খান আরও বলেন, দেশের সামরিক বাহিনী আইনের ঊর্ধ্বে, সেনা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই আইনের ঊর্ধ্বে। যখন দেশের কেউ আইনের ঊর্ধ্বে উঠে যায় তখন সেখানে জঙ্গলের শাসন নেমে আসে। তারা লোকজনকে অপহরণ, আটক ও গুম করতে পারে। তারা বিচারকদের ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে, গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে। প্রাতিষ্ঠানিক কোনো জবাবদিহিতা থাকে না; এটা গণতন্ত্র নয়।

এদিকে জনগণের প্রতি দেওয়া এক বার্তায় ইমরান খান বলেছেন, আমার বার্তা হলো- আমি আমার রক্তের শেষ বিন্দু পর্যন্ত হক্বানি আজাদির জন্য লড়ব। কারণ আমার কাছে এই ধরনের বদমায়েশি শাসনের দাসত্বের চেয়ে মৃত্যুই আমার কাছে শ্রেয়।

এক টুইট বার্তায় ইমরান খান বলেছেন, আমি আমার সকল জনগণকে স্মরণ রাখার জন্য অনুরোধ করছি যে, আমরা লা ইল্লাল্লাহ হা ইল্লাল্লাহর প্রতিজ্ঞা করেছি। যার অর্থ- আমরা এক আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে মাথা নত করব না। আমরা যদি এই ভয়ের সংস্কৃতি মেনে নেই, তাহলে তা হবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অপমান ও বিভেদের কারণ।

পিটিআই প্রধান বলেন, যে দেশে অন্যায় ও জংলি আইন বিরাজ করে, সেসব দেশ বেশি দিন টিকে থাকে না।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading