১৫ মাইল হেঁটে কীর্তনখোলা নদীর অপরপ্রান্তে এসে হতাশ একদল নেতাকর্মী। নেই খেয়া, কোনো নৌকা। নদীর অপরপ্রান্তে তখন হাজার হাজার মানুষ দেখা যাচ্ছে। উপায় না দেখে ওদের মধ্যে যে ক’জন সাঁতার জানে তারা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়লো। আর বাকি কয়েকজন যারা সাঁতার জানেন না তারা কলাগাছ কেটে তা দিয়েই বিশাল নদী পার হয়েছেন। বরিশাল নগরী আর উপজেলাকে বিচ্ছিন্ন করেছে কীর্তনখোলা নদী। বরিশালের নৌবন্দরের পাশে চরকাউয়া পয়েন্টে খেয়াই যাতায়াতের সহজ মাধ্যম।  সেই খেয়া পারাপার শুক্রবার থেকে বন্ধ রয়েছে। তাই কীর্তনখোলার ওপারের ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিএনপি’র নেতকর্মীরা শনিবার সকালে সেই নদী সাঁতরে সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন, এমনটাই দেখা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, অন্তত ২০ জন কর্মী সকাল পৌনে ১০টার দিকে চরকাউয়া খেয়াখাটে আসেন। 

তারা শুধু শটপ্যান্ট পরে খালি গায়ে কীর্তনখোলায় ঝাঁপ দেন। তখন নদীতে প্রচণ্ড স্রোত। প্রায় ৩০ মিনিট সাঁতরে তারা কীর্তনখোলা নদী পাড়ি দেন। বরিশাল শহরের এই প্রান্তে তাদের জন্য পোশাক নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন দলের নেতারা। তীরে সাঁতরে ওঠার পর তাদেরকে নতুন পোশাক দেয়া হয়। পোশাক পরে তারা পায়ে হেঁটে সমাবেশস্থলে যোগ দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন ছাত্রদলের কর্মী সবুজ তালুকদার। তিনি বলেন, বাকেরগঞ্জের গোমা থেকে তিনি ভোররাতে রওনা দিয়ে এসেছেন। পায়ে হেঁটে সকাল ৮টার দিকে চরকাউয়া খেয়াঘাটে পৌঁছান। কিন্তু খেয়া পারাপার বন্ধ থাকায় বিকল্প পথে পারাপারের জন্য প্রায় ঘণ্টাখানেক ঘাটে বসেছিলেন। তার মতো আর কয়েক যুবক সেখানে অপেক্ষা করছিলেন। শেষমেশ তারা নদী সাঁতরে সমাবেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। সুত্র, মানবজমিন ।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading