মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর পরপরই শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা।

এ সময় সশস্ত্র সালাম জানায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল। পাশ থেকে বেজে ওঠে বিউগলের করুণ সুর।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সভাপতি হিসেবে আরো একবার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। সঙ্গে ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ ও কেন্দ্রীয় নেতারা।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করে কেন্দ্রীয় ১৪ দল। এরপর শ্রদ্ধা জানাতে আসেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে স্মৃতিসৌধে আসা বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা শ্রদ্ধা জানান।

রাষ্ট্রীয় আয়োজন শেষে স্মৃতিসৌধ খুলে দেওয়া হয় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য। ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে বিনম্র চিত্তে স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের।

শুক্রবার এক বার্তায় জাতীয় স্মৃতিসৌধ আমন্ত্রিত অতিথিদের ভোর ৫টা ২০ মিনিটের পরিবর্তে ৭টা ১৫ মিনিটে আসার অনুরোধ জানায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে জাতির শ্রেষ্ঠসন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে ভোর থেকে স্মৃতিসৌধে ভিড় করেন হাজারো মানুষ।

এদিকে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করেছে সশস্ত্র বাহিনী।

সাভার থেকে ফিরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading