আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রথম মানব আদম ও মানবী হাওয়াকে সৃষ্টি করে স্বর্গে বসবাস করার অনুমতি দিলেন এবং একটি গাছ থেকে( যা গন্দম নামে পরিচিডি লাভ করে) দুরে অবস্থান করারা নির্দেশ দেন। আদম( আঃ) ও হাওয়া( আঃ) শয়তানের প্ররোচনায় সে গাছের সামনে যায় এবং ফল খায়।
অতপর সাথে সাথেই তাদের শরীর থােক জান্নাতী পোশাক তুলে নেয়া হয়।নিজদের ভুল বুঝার পর আল্লাহ তাদের তওবা করার বাক্য শিখিয়ে দেন এবং তা উচ্চারিত করার পর (রব্বানা জালামনা আনফুসানা, ওয়া ইললাম তাগফির লানা ওয়া তারহামনা,
লানাকু-নান্না মিনাল খসিরিন।
অর্থ : হে আমাদের প্রভু, আমরা নিজেদের ওপর অন্যায় করেছি। আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদেরকে রহম না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব। (সুরা আরাফ : আয়াত ২৩)
আল্লাহ তাদের ক্ষামা করে দেন জান্নাতেই।
তবে আল্লাহ তার নিদিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী আদম ও হাওয়াকে পৃথিবী নামক গ্রহে পাঠিয়ে দেন তার খলিফা, নবী ও প্রথম নর- নারী হিসেবে। আদম(আঃ) থেকে শুরু করে সকল আসমানী কিতাবসমুহ যেমন জবুর, তাওরাত, ইন্জিল ও সর্বশেষ ঐশী কিতাব আল কোরআন এ সত্যতার সাক্ষ্য দিচ্ছে।
এখানে তিনটি সত্য প্রকাশিত হয়েছেঃ
একঃ
স্রস্টা সয়ম্ভু, এক ও অদ্বিতীয় এবং তিনি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই।মহাবিশ্বসমুহের তিনি একক স্রস্টা ও প্রতিপালক, জন্ম,রিষিক, মৃত্যু, মহাপ্রলয়, বিচার এবং শাস্তি ও পুরস্কারে তার একক এফতিয়ার।
দুইঃ
মানুষ পৃথিবী নামক গ্রহে ভিন জগত জান্নাত থেকে এসেছে এবং পৃথিবীতে বংশ বিস্তার করে চলছে যা আসমানী কিতাবসমুহের ভাষ্য অনুযায়ী সৃষ্টির লয় পর্যন্ত চলবে;
এবং
তিনঃ
ইসলামই প্রথম ও সনাতন ধর্ম।
আল্লাহ আমাদেরকে সত্য জানার, বুঝার ও উপলব্ধি করার তওফিকে সিক্ত করুন।
১৯ অক্টোবর ২০২১ ।