দেশে ফিরতে চান ভারতে গ্রেফতার হওয়া বহুল আলোচিত পলাতক পি কে হালদার।

সোমবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে মেডিক্যাল চেকআপের জন্য নিয়ে যাওয়া হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি দেশে ফিরতে চাই।

তিনি দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ঠিক নয়।

সোমবার সকালে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর (ইডি) আঞ্চলিক দপ্তর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে তাকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতাল থেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ফেরার সময় গণমাধ্যমের কর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বারবারই বলেন, তার কোনো দোষ নেই। তিনি বাংলাদেশে ফিরতে চান।

শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের ১১টি স্থানে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ২০০২ সালের ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’ (পিএমএলএ) এর অধীন গ্রেফতার হওয়া পি কে হালদার ছাড়াও অন্যরা হলেন প্রাণেশ কুমার হালদার, স্বপন মিত্র ওরফে স্বপন মিস্ত্রি, উত্তম মৈত্র ওরফে উত্তম মিস্ত্রি, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শারমিন হালদার। গ্রেফতারকৃত ৬ জনকেই শনিবার পিএমএলএর আওতাধীন বিশেষ আদালতে তোলা হলে ৫ জনকে ইডির রিমান্ডে নেওয়া হয় একজনকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়।

তাদের সবাইকে মঙ্গলবার (১৭ মে) বেলা বারোটার পর আদালতে তোলা হবে।

ইডি জানায়, পি কে হালদার রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, আয়কর দপ্তরের পরিচয়পত্র পিএএন (প্যান) এবং আধার কার্ডের মতো ভারতীয় সরকারি পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগরে অবস্থান করছিলেন। তিনি সেখানে পি কে শিব শংকর হালদার নামে নিজেকে পরিচয় দিতেন ও ভারতীয় নাগরিক হিসেবে দাবি করতেন।

জানা গেছে, উত্তর২৪ পরগনা, কলকাতা এবং দক্ষিণ২৪ পারগনার বিভিন্ন এলাকায় পি কে হালদার ও তার সহযোগীরা স্থাবর সম্পত্তি কিনেছেন। বর্তমানে সেগুলো সিলগালা করা হয়েছে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading