অন্যায়ভাবে নজরদারি ও বাকস্বাধীনতায় বাধা দেওয়ায় বিশ্বের প্রধান তিনটি বৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তার অভিযোগের তীরে বিদ্ধ হয়েছে গুগল, ফেইসবুক ও টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা (সিইও)। ট্রাম্পের মামলার বিবাদীরা হলেন- ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গ, টুইটারের সিইও জ্যাক ডোর্সে ও গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই। এ সব মামলায় তিনি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে যুক্ত করা বাক্‌স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন।

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তিনি আলাদা আলাদা মামলা করেছেন বলে জানায় রয়টার্স।

নিজের মামলার বিষয়ে খুব আত্মবিশ্বাসী ট্রাম্প। বুধবার নিউজার্সিতে নিজের মালিকানাধীন গলফ ক্লাবে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, এই মামলার মধ্য দিয়ে মার্কিন নাগরিক স্বাধীনতা ও বাক্‌স্বাধীনতা প্রশ্নে আমরা ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করব।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাট দলের নেতাদেরও সমালোচনা করেছেন।

গত জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে আইনপ্রণেতাদের বৈঠকে নিজের সমর্থকদের দাঙ্গার পর এসব সামাজিক প্ল্যাটফর্মের থেকে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বাতিল করে দেওয়া হয়। মূলত ওই তাণ্ডবে মদদ দেওয়ার কারণ দেখিয়ে জননিরাপত্তার স্বার্থে ট্রাম্পের এসব অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিষ্ঠানগুলো।

বন্ধের আগে ট্রাম্প টুইটার, ফেসবুক থেকে নিয়মিত পোস্ট দিতেন। ওইসব পোস্টে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ট্রাম্প তার সমর্থকদের নানা ধরনের উস্কানি দিয়েছেন।

তবে ট্রাম্প দাবি করে আসছেন, তিনি এসব প্রতিষ্ঠানের সেন্সরশিপের শিকার। এসব মামলায় তিনি নিজের ওপর আরোপিত সেন্সরশিপ প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন।

ট্রাম্প বলেন, এই তিনটি প্রযুক্তি সংস্থা অন্যায়ভাবে তার ও অন্যান্য রক্ষণশীলদের বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ার আগে পরীক্ষা ও নজরদারি করতো।

বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাখ্যানের কারণে মাঝে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চালু করেন ট্রাম্প। কিন্তু মাস খানেকের মাথায় বন্ধ করে দেন।

অবশ্য ট্রাম্পের মামলা সম্পর্কে ক্যালিফর্নিয়া ভিত্তিক প্রযুক্তি সংস্থা বা তাদের নির্বাহীরা তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেননি।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading