এমনকি কেউ দুঃস্বপ্নেও সেদিনের ঘটমান প্রহসন এবং আগের রাতের র্দূবৃত্তপনার কাহিনী কল্পনা করেনি। এমনকি যারা ওসব করেছে তারাও বলতে পারতেন না তাদের ছোঁড়া তীর কতোদুর গিয়ে কতজনকে বিদ্ধ করবে এবং কতোটা গভীরতা নিয়ে প্রতিপক্ষকে রক্তাক্ত করবে। ফলে যা হবার তাই হয়েছে। সুতরাং যারা নিজেদেরকে অসহায়, ক্ষতিগ্রস্থ ও সম্বলহীন ভাবছেন তাদের উচিত দয়া করে অপেক্ষা করা এবং প্রকৃতির কার্যকারন সম্পর্কে আশাহত না হওয়া।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে- বিএনপির কিছু শুভার্থী বোধ হয় পাগল হয়ে গিয়েছেন। তারা বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে বহুমুখী কথাবার্তা বলে যে বিভ্রান্তী ছড়াচ্ছেন তা শেষ পর্যন্ত বিএনপির বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে। কেউ কেউ বিএনপিকে আন্দোলন করার পরামর্শ দিচ্ছেন- অনেকে আবার নেতৃত্ব পরিবর্তন সহ কাউন্সিল ডাকার যুক্তি খাড়া করেছেন। দুই একজন অবশ্য সংসদে যাওয়ার ব্যাপারেও আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

আমার মতে বিএনপির উচিত কমপক্ষে দুই-তিন মাস চুপচাপ থাকা। কারন তাদের সকল এমপি প্রার্থী এবং শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বিরাট অংশ যে শারীরিক ও মানসিক ট্রমার মধ্যে পড়েছেন তা কাটিয়ে ওঠার জন্য নির্দিষ্ট সময় দরকার। ট্রমা অবস্থায় কোন কাজকর্ম ও কথাবার্তায় সাধারনত সুফল আসেনা। আমি যখন বিএনপির একজন শুভার্থীকে ট্রমা প্রসঙ্গে কথা বলছিলাম তখন তিনি জানতে চান- কিসের ট্রমা ! কেমন ট্রমা। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম আপনি কি বিএনপি দলীয় কোন এমপি প্রার্থীর সঙ্গে ২৫শে ডিসেম্বরের পর মাত্র একটি ঘন্টা সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন কিংবা চেষ্টা করেছেন ? তিনি মাথা নেড়ে না বোধক উত্তর দেবার পর আমি দ্বিতীয় বার প্রশ্ন করলাম- আপনি কি কোনদিন একজন পুরুষের প্রকাশ্য গণধর্ষিত হবার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করেছেন- অথবা আপনি কি একথা কোন কালে ভেবেছেন যে, একজন শক্তিমান, সম্মানিত ও মর্যাদাবান পুরুষ প্রকাশ্য রাজপথে কিছু সমকামী দূর্বৃত্তদের হাতে গণধর্ষিত হবার পর তার মনের অবস্থা কেমন হতে পারে?

আমার কথা শুনে ভদ্রলোকের মুখ লজ্জায় লাল হয়ে গেলো। তিনি আর কথা না বাড়িয়ে মাথা নীচু করে থাকলেন। আমি তাকে রাষ্ট্র শক্তির প্রতারণা ও ছলচাতুরীর ইতিহাস ও পরিনাম সম্পর্কে কিছু চমকপ্রদ কাহিনী বলতে চেয়েছিলাম।। পৃথিবীর সর্বকালের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ও সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্যের মালিক সাইরাস যখন তার রাষ্ট্র ক্ষমতাকে যুদ্ধের ময়দানে প্রতারনার কাজে ব্যবহার করলেন- তখন তার কি পরিনতি হয়েছিলো অথবা ফেরাউন দ্বিতীয় রামসীস কেনো বনি ইসরাইলদেরকে মুক্ত করে রাজকীয় ফরমান জারী ও হযরত মুসার সঙ্গে সমঝোতার পরও আল্লাহর ক্রোধের শিকার হলেন ? বিএনপির শুভার্থীর লজ্জাবনত অবস্থা দেখে আমি আর কথা বাড়ালাম না।

৩০ শে ডিসেম্বর ২০১৮ সালে বাংলাদেশে যা হয়ে গেলো তার অভ্যন্তরীন ভেদ বা রহস্য সম্পর্কে বিএনপি তো দুরের কথা বাংলাদেশের কেউই জানতেন না। এমনকি কেউ দুঃস্বপ্নেও সেদিনের ঘটমান প্রহসন এবং আগের রাতের র্দূবৃত্তপনার কাহিনী কল্পনা করেনি। এমনকি যারা ওসব করেছে তারাও বলতে পারতেন না তাদের ছোঁড়া তীর কতোদুর গিয়ে কতজনকে বিদ্ধ করবে এবং কতোটা গভীরতা নিয়ে প্রতিপক্ষকে রক্তাক্ত করবে। ফলে যা হবার তাই হয়েছে। সুতরাং যারা নিজেদেরকে অসহায়, ক্ষতিগ্রস্থ ও সম্বলহীন ভাবছেন তাদের উচিত দয়া করে অপেক্ষা করা এবং প্রকৃতির কার্যকারন সম্পর্কে আশাহত না হওয়া।
(ফেসবুক) সূত্র:আমাদেরসময়

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading