শুদ্ধস্বর রিপোর্ট ।   আগের দিন রাত থেকে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিন। ভয় পাবেন না। ভয়ের কিছু নেই। আপনি ন্যায়ের জন্য ৩০ ডিসেম্বর ধানের শীষের জন্য ভোটকেন্দ্রে অবস্থান নেন। মানুষ একবারই মরে, বীরের মৃত্যু নেই।

শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সোনাকান্দা স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক সমাবেশে একথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, গত কয়েকদিন আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি বলেন, তোমরা ঐক্যবদ্ধ থাকো এবং একতাবদ্ধ হয়ে জাতিকে মুক্ত করো তাহলেই আমার মুখে হাসি ফুটবে।

‘৩০ তারিখ রায় দেওয়ার সময় আলোর দিকে থাকবেন নাকি অন্ধকারে থাকবেন, মুক্তির পথে থাকবেন নাকি পরাধীনতার পথে থাকবেন সেটা ভাবতে হবে।’

বিএনপির ১৬ জন প্রার্থীকে জেলে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে মহাসচিব বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন তফসিল ঘোষণার পর হামলা-মামলা গ্রেফতার করা হবে না কিন্তু হচ্ছে। তাহলে কি তাকে সত্যবাদী বলা যায়?

‘সিইসি বলেছেন নির্বাচনের সুবাতাস বইছে,  লেভেল প্লেইং ফিল্ড আছে। লেভেল প্লেইং ফিল্ড বলতে আছে তারা হেলিকপ্টার পতাকা লাগিয়ে প্রচারণা করছে আর আমরা অনুমতি নিয়েও সমাবেশের একটি মঞ্চ বানাতে পারি না। আমাদের পোস্টার লাগাতে দেয় না, প্রচারণা করতে দেয় না। তবুও ৩০ তারিখ আমরা মুক্তির জন্য এই নির্বাচন করবো।

নির্বাচন কমিশনকে ঠুটো জগন্নাথ উল্লেখ করে তিনি বলেন, হয় ক্ষমতা প্রয়োগ করুন, না হয় দায়িত্ব ছেড়ে দিন।

সরকার ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দেয়নি দাবি করে ফখরুল বলেন,  আমরা ক্ষমতায় গেলে বেকারদের চাকরি দেবো। না পারলে বেকার ভাতা দেবো। শিল্প কারখানা করবো, মেয়েদের উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করবো। ধর্মীয় কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। এদেশ সব ধর্মের মানুষের দেশ, কারো উপর হাত দেবেন না।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, গত ৫ বছরে বাংলাদেশ লুটের বাজার হয়েছে। ব্যাংক, শেয়ার বাজার লুট হয়েছে। মানুষ হত্যা হয়েছে, খুন হয়েছে, গুম হয়েছে। যে অত্যাচার হয়েছে মানুষের কাছে মাফ চাচ্ছেন আমাদেরও আপনি মাফ করে দিয়েন। প্রার্থীদের মারছেন, মানুষকে মারছেন রাতের আঁধারে কিছু লোক নিয়ে মিছিল করে আমাদের হামলা করে মনে করবেন না মানুষ ভয় পেয়ে যাবে।

তিনি বলেন, মনে করেছেন আমাদের ভোট থেকে এসব হামলা মামলা করে সরিয়ে দেবেন, এবার ভোট আমরা করবোই। সরবো না। আমরা বিদ্রোহ করবো আর সেদিন হবে ৩০ তারিখ, সবাই মিলে আমরা ভোট দিতে যাবো। ৮টা থেকে ১ টার মধ্যে ভোট দেয়া শেষ করে দেবেন। তারপর খেয়ে ধেয়ে আবার ভোটকেন্দ্রে যাবেন। কেউ কিছু বললে বলবেন ভোট তো দিয়েছি, এখন ফলাফল পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবো। অনেক সহ্য করেছি ১০ বছর, এখন শান্তির বাংলাদেশ গড়তে চাই।

ডা. জাফরউল্লাহ বলেন, শেখ হাসিনা এখন কেন ক্ষমা চান, কারণ তিনিও জানেন তিনি জাতির কাছে ভুল করেছেন। এবার ধানের শীষের জয় কেউ আটকাতে পারবে না।  রিপোর্ট করেছেন     নারায়ণগঞ্জ থেকে   শুদ্ধস্বরের প্রতিনিধি   নাজমুল হাসান

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading