ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হয়নি যদিও, তবে বেশ কঠিণ পরীক্ষাই দিতে হচ্ছে টাইগারদের। তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছার আগেই হারায় ৪ উইকেট। দাঁড়াতে পারেননি টপ অর্ডারের কেউ। তবে শেষ পর্যন্ত হৃদয়-মাহমুদউল্লাহর বিধ্বংসী জুটিতে ৬ উইকেটের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকেরা।

১৩৯ রানের মাঝারি মানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা খুব একটা মন্দ হয়নি টাইগারদের। ৪১ রান তুলে ৫.৪ ওভারে। আগের ম্যাচে অপরাজিত থাকা তানজিদ তামিমকে ফিরিয়েই উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন এনদোলোভু। বেনেটের দারুণ ক্যাচের শিকার হয়ে তানজিদ ফেরেন ১৯ বলে ১৮ রানে।

তবে বড় ধাক্কাটা আসে ১০ম ওভারে, জোড়া উইকেট তুলে নেন লুক জঙ্গি। ওভারের তৃতীয় বলে তুলে মারতে গিয়ে রায়ান বার্লকে ক্যাচ দেন ১৫ বলে ১৬ করে। আর ওভারের শেষ বলে ক্যাম্পবেলকে ক্যাচ দেন লিটন, আউট হন ২৫ বলে ২৩ রানে।

তাওহীদ হৃদয় আর জাকের আলি ৩০ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামলে উঠলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি জাকের, আউট হন ১২ বলে ১৩ রানে। তবে এরপর আর বিপদ বাড়তে দেননি হৃদয়- মাহমুদউল্লাহ জুটি। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত ফিনিশিং দেয়া হৃদয় আজও কাঁধে নেন দায়িত্ব।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে ২২ বলে ৫০ রানের হার না মানা জুটি গড়ে নিশ্চিত করেন জয়। হৃদয় ২৫ বলে ৩৭* ও মাহমুদউল্লাহ ১৬ বলে ২৬* রানে অপরাজিত থাকেন। ১৮.৩ ওভারে ৬ উইকেট হাতে রেখে নিশ্চিত হয় জয়। এই জয়ে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

এর আগে, জোনাথন ক্যাম্পবলের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পায় জিম্বাবুয়ে৷ অবদান রেখেছেন ব্রায়ান বেনেটও। দু’জনের ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটিতেই ১০০ পেরোয় সফরকারীরা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান তুলে সিকান্দার রাজার দল।

চট্টগ্রামে রোববার টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে খুব সাবধানে শুরু করে জিম্বাবুয়ে। দেখে শুনেই খেলছিল তারা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। প্রথম টি-টোয়েন্টির ম্যাচ সেরা তাসকিন আহমেদকে চতুর্থ ওভারে আক্রমণে আসতেই দেখা দেয় দিনের প্রথম উইকেট।

ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন মারুমানি। ৪ বলে ২ রান করেন তিনি। ২২ রানে শেষ হয় পাওয়ার প্লে। পরের উইকেট আসে ৭.১ ওভারে, এবার জয়লর্ড গাম্বেকে ফেরান সাইফুদ্দীন। ৩০ বলে ১৭ রান করে থিতু হয়ে যাওয়া গাম্বে ক্যাচ দেন শান্তকে।

৪২ রানে ৫ উইকেটের পতন হয় ১০.২ ওভারে, ক্রেইগ আরভিনকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংসের লেঁজ বের করে আনেন শেখ মেহেদী। ১৬ বলে ১৩ রানে আউট হন আরভিন। তবে এর আগের ওভারেই জোড়া উইকেট তুলে মূলত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন রিশাদ।

জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে ফিরিয়ে শুরু, ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ৮ বলে ৩ করে ক্যাচ দেন লিটনকে।নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমেছিলেন ক্লাইভ মাদান্দে। তবে এক বল পরই রিশাদের শিকার মাদান্দেও। ২ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।

যখন মনে হচ্ছিল হয়তো মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে জিম্বাবুয়ে, তখনই ক্যাম্পবেল ও ব্যানেটের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। ক্যাম্পবেল ২৪ বলে ৪৫ রানে আউট হলেও ২৯ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন ব্যানেট। দুটি করে উইকেট নেন তাসকিন ও রিশাদ। সুত্র, নয়া দিগন্ত ।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading