গত বছর ১৯ সেপ্টেম্বর সোসাইটির চেক জালিয়াতি করে এস্টোরিয়াস্থ টিডি ব্যাংক থেকে অর্থ তোলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ব্যাংক কর্মকর্তা ও সোসাইটির নেতৃবৃন্দের দ্রুত হস্তক্ষেপে মামুন ১ লাখ ৬৫ হাজার ডলার উত্তোলন করতে ব্যর্থ হয়। চেক জালিয়াতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সোসাইটির কর্মকর্তারা মামলাও দায়ের করেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ মাস ধরে গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করে।
ব্যাংকের ভিডিও ফুটেজ থেকে মামুন আবুকে শনাক্ত করা হয়। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
বাংলাদেশ সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ নওয়াদ হোসেন সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ সোসাইটির ফিউনারের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে সব মিলিয়ে ১ লাখ ৬৫ হাজার ডলার হ্যাক করার চেষ্টা করা হয়। জালিয়াতকারী সোসাইটির রেগুলার অ্যাকাউন্টের মতো নকল চেক তৈরি করে, রাউটিং নম্বর দেয়, চেক নম্বর দেয় এবং জাল স্বাক্ষরও করে। সাধারণত এই পর্যন্ত হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, তথ্য চুরি করে অন্যভাবে আত্মসাৎ করে, কিন্তু জালিয়াতকারী এতোই ধুরন্ধর যে অবিকল সব জাল করে নিজেই যায় ব্যাংকে। কয়েক ধাপে সে সফলও হয়। কিন্ত সোসাইটির দায়িত্বশীলদের তৎপরতায় বড় ধরনের বিপর্য়ের হাত থেকে রক্ষা পায় সোসাইটির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ।
এদিকে একজন বাংলাদেশি হয়ে প্রবাসীদের অন্যতম বৃহৎ সংগঠনের অ্যাকাউন্ট হ্যাকসহ চেক জালিয়াতের ঘটনায় কমিউনিটিতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় । প্রবাসীরা বলছেন, মামুনের এই ধরনের ঘটনা এবং পরবর্তীতে গ্রেপ্তার হওয়ার কারণে বাংলাদেশিদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে । সবাই মামুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন ।