ন্যাটোর পূর্বমূখি স¤প্রসারণ, বিশেষকরে, ন্যাটোতে ইউক্রেনের সম্ভাব্য যোগদানের বিষয়টি কেন্দ্র করে ইউক্রেনে রাশিয়া আগ্রাসন চালিয়েছে বলে একটি প্রচারণা আছে। আগ্রাসন শুরুর আগে পুতিন ন্যাটোর কাছে ১৯৯৭ পূর্ববর্তী এবং মধ্য ইউরোপ, পূর্ব ইউরোপ ও বাল্টিক অঞ্জল থেকে তাদের বাহিনী ও সামরিক অবকাঠামো সরিয়ে নেওয়ার জন্য ন্যাটোর কাছে দাবি জানিয়েছিলো। (বিবিসি নিউজ)। ন্যাটো রাশিয়ার ওই দাবির প্রতি কর্ণপাত করেনি। তাই ইউক্রেনের ন্যাটোতে অংশগ্রহণ থামানোর জন্য রাশিয়া তড়িঘড়ি করে ইউক্রেনে আগ্রাসন পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেয়।

একটি দ্রুত  সংক্ষিপ্ত এবং সপ্তাহখানেক সময়ের মধ্যে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে প্রবেশ করে জেলেনস্কি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাশিয়ার অনুগত একটি সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইউক্রেনে যুদ্ধের সমাপ্তি হওয়ার প্রাথমিক পরিকল্পনার ভিত্তিতে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি দুই লাখ সৈন্যের বিরাট বাহিনী নিয়ে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সরকারের পরিবর্তে পুতিনের অনুগত সরকার প্রতিস্হাপনের পাশাপাশি ইউক্রেনকে অসামরিকীকরণ করা, ইউক্রেনের ন্যাটোর সদস্যভূক্তি থামানো এবং দেশটির নিরপেক্ষ অবস্থান নিশ্চিত করা এবং সর্বোপরি ইউক্রেনকে ডিজিনাফাই করা (ডিজিনাফিকেশন শব্দটি প্রথম আইনী শব্দ হিসেবে ১৯৪৩ সালে পেন্টাগন কতৃক উদ্ভাবিত হয়েছিলো। ডিজিনাফিকেশন হলো দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর জার্মান ও অস্ট্রিয়ান সমাজ,সংস্কৃতি, প্রেস,অর্থনীতি,বিচার বিভাগ ও রাজনীতির নাৎসি মতাদর্শ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য একটি মিত্র উদ্যোগ)। রাশিয়ার সরকারি সংবাদসংস্থা ‘রিয়া নোভস্তি’ ব্যাখ্যা করেছে যে ‘ডিনাজিফিকেশন অনিবার্যভাবে ইউক্রেনাইজেশন ও ডি- ইউক্রেনাইজেশন’,-বাস্তবে ইউক্রেনের আধুনিক রাষ্ট্রত্ব মুছে ফেলে ইউক্রেনকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন মূলত ইউক্রেনের নিজস্ব রাষ্ট্রত্ব কখনো মেনে নেননি, যা তার ২০২১ সালের ১২ জুলাইয়ে প্রকাশিত ‘অন দ্য হিস্টরিক্যাল ইউনিটি অব রাশিয়াস অ্যান্ড ইউক্রেনিয়ানস’ প্রবন্ধে স্বীকার করেছেন। তিনি তার ওই প্রবন্ধে বলেন, ‘রাশিয়ান, ইউক্রেনীয়ান এবং বেলারুশিয়ানরা সবাই প্রাচীন রাশিয়ানদের বংশধর, -যা ছিলো তখন ইউরোপের বৃহত্তম রাষ্ট্র।’ কাজেই ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের প্রধান লক্ষ-ই ছিলো ইউক্রেন দখল করে রাশিয়ার সঙ্গে একীভূত করা।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে  ইউক্রেনে সামরিক হামলার মাধ্যমে পুতিন প্রত্যাশা করেছিলেন সামরিক অভিযানে দ্রæত-ই তিনি বিজয়ী হয়ে ইউক্রেনকে একীকরণ করতে পারবেন রাশিয়ার সাথে। ফলে ইউক্রেন নামে কোনো রাষ্ট্র-ই আর থাকবেনা পৃথিবীর মানচিত্রে। কিন্তু পুতিনের ধারণা ভূল প্রমাণিত হয়েছে, তার প্রাথমিক আক্রমণ পরিকল্পনা স্পষ্টত-ই ব্যর্থ হয়েছে, যুদ্ধে পুতিনের বিজয় আসেনি, বিজয় অধরাই রয়ে গেছে এবং যুদ্ধ এখন দ্বিতীয় বছরে চলমান আছে। গত একবছরের যুদ্ধে উভয়পক্ষই অত্যধিক ক্ষতির মূখে পড়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বলেছে, গত ১২ মাসের যুদ্ধে কমপক্ষে ৮০০৬ বেসামরিক লোক মারা গেছেন এবং ১৩২৮৭ আহত হয়েছেন। তবে প্রকৃত সংখ্যাটি আরও বেশি হতে পারে বলে মনে করা হয়। (বিবিসি নিউজ)। নিউইয়র্ক টাইমস দ্বারা প্রকাশিত অনুমান অনুসারে ফেব্রুয়ারী ২০২৩ পর্যন্ত, ইউক্রেনে নিহত এবং আহত রাশিয়ান সৈন্যসংখ্যা প্রায় দুই লাখের কাছাকাছি। ফক্স নিউজে ৩০ মার্চ ২০২৩ এ প্রকাশিত সংবাদ থেকে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চীফস অব ষ্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি সিনেটের আর্মড সার্ভিসেস কমিটির শুনানীতে আইনপ্রণেতাদের বলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র মূল্যায়ন করে যে, ’রাশিয়ানদের দুই লাখেরও বেশি হতাহতের সংখ্যা আছে।’ রেডিও ফ্রি ইউরোপ জানিয়েছে, রাশিয়ার একটি আদালত ইউক্রেনে রাশিয়ান সামরিক মৃত্যুর সংখ্যার তথ্য প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কারনে সরকারিভাবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ না করায় হতাহতের সঠিক সংখ্যা যাছাই করা সম্ভব হয়নি। আসলে উভয়দেশ যুদ্ধরত থাকার কারণে সামরিক ও বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা নির্ভূলভাবে নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম মনে করে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন একটি বৈশ্বিক পলিক্রাইসিস সংকট তৈরি করেছে। চার মিলিয়নেরও বেশি ইউক্রেনীয় শরণার্থী যুদ্ধ থেকে বাঁচতে নিরাপত্তার জন্য তাদের বসতবাড়ী ছেড়ে অন্যত্র উদ্বাস্তুর জীবনযাপন করছে (সূত্র: জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা, ইউএনএইচসিআর)। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকায় বৈশ্বিক জ্বালানির দাম এবং খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক পরিমাণে বেড়েছে,- যা বিশ্বব্যাপী জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটকে গভীর করেছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক গেøাবাল রিপোর্ট ২০২৩ মনে করে, ‘একটি বিশ্বব্যাপী জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকট অব্যাহত থাকার ফলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অংশগুলোর একটি ক্রমবর্ধমান অনুপাত মৌলিক চাহিদাগুলোর অ্যাক্সেসের বাইরে গিয়ে অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অস্হিরতার কারণ হতে পারে। ক্রমাগত সরবরাহ-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবে, মূদ্রাস্ফীতি হতে পারে, বিশেষকরে, খাদ্য ও শক্তির ক্ষেত্রে।’(সূত্র : ফোরামের ওয়েবসাইট) রাশিয়া এবং ইউক্রেন, উভয়দেশ-ই বড়ধরণের অর্থনৈতিক পতনের সম্মূখীন হয়েছে।ইউক্রেনের জ্বালানি কাঠামোর ১০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতি হয়েছে এবং ১২ মিলিয়নের অধিক মানুষ বিদ্যুতহীন অবস্থায় আছে।(ইউএনডিপির রিপোর্ট)। দেশটির ভৌত কাঠামোর ৪০ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং মোট জিডিপির ৩৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। রাশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয় এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ২০২২ সালে বার্ষিক রাজস্ব ৩৫ শতাংশ কমেছে, অথচ ব্যয় বেড়েছে ৫৯ শতাংশ। এই যুদ্ধ ইউক্রেনকে ধ্বংস করছে এবং অন্যদিকে, পশ্চিম থেকে রাশিয়াকে আরও বি’িছন্ন করেছে এবং সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে অতিমাত্রায়।
পুতিন তার যুদ্ধকে রাশিয়ার যুদ্ধে পরিণত করেছেন, যা রাশিয়ার ক্ষতির কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। ইউক্রেনকে শিক্ষা দিতে গিয়ে রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে একটি অস্হিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেছেন, যা রাশিয়ার জন্য সম্ভবত স্হায়ী সীমান্ত সংকট তৈরি করবে। পুতিনের আগ্রাসন একটি বৈরী ইউক্রেন পশ্চিমা শিবিরে প্রবেশ করেছে এবং কথিত রাশিয়ার দোরগোড়ায় তার সামরিক চৌকিতে পরিণত হয়েছে, যা কৃষ্ণ সাগর ও ভূমধ্যসাগরে রাশিয়ার প্রবেশাধিকারকে বিপন্ন করে তোলবে। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী, উত্তেজনাপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক স্থবিরতা, রাশিয়া এবং বাকী ইউরোপের মধ্যে বৃহত্তর অচলাবস্থার অগ্রবর্তী প্রান্তে পরিণত হওয়া কার্যত নিশ্চিত। পুতিনের ইউক্রেন যুদ্ধ এভাবেই রাশিয়ার জন্য দীর্ঘমেয়াদের যুদ্ধে পরিণত হওয়ার আশংকা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই যুদ্ধে রাশিয়া একাধিক কৌশলগত ধাক্কা খেয়েছে। ইউরোপের প্রধান শক্তি হিসেবে তার অবস্থান হারিয়েছে এবং রাশিয়ার সামরিক শক্তি ক্ষয় হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে দূর্বল হয়ে পড়েছে যুদ্ধ ব্যয় মেটাতে গিয়ে। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, ঠান্ডা যুদ্ধের সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রতিদ্বন্ধিতায় লিপ্ত হয়ে সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে বড়ধরণের অর্থনৈতিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছিলো এবং সেই বিপর্যয় থেকে দেশটি বের হয়ে আসতে পারেনি, যার ফলস্বরূপ সোভিয়েত ইউনিয়ন নামক রাষ্ট্রটি-ই পৃথিবীর মানচিত্র থেকে হারিয়ে গিয়েছিলো। সচেতন মানুষেরা বলেন, ঠান্ডা যুদ্ধ সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ডেকে এনেছিলো, এখন ইউক্রেনে আগ্রাসন রাশিয়াকে দুর্বল রাষ্ট্রে পরিণত করবে এবং এমনকি রাশিয়াকে খন্ড-বিখন্ডে বিভক্ত করতে পারে।
রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা ও মর্যাদা ইতোমধ্যেই হ্রাস পেয়েছে, দেশটির চারদিকে পশ্চিমাদের অর্থাৎ ন্যাটোর পরিধি বেড়েছে। ফলে একটি অস্হিতিশীল সীমান্তে ইউক্রেন ও পশ্চিমাদের উত্তেজনা অব্যাহত থাকবে দীর্ঘমেয়াদে। অর্থাৎ ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার চিরকালীন বৈরিতা অব্যাহত থাকবে এবং অন্যদিকে ন্যাটো বিপজ্জনক শত্রু হিসেবে থাকবে রাশিয়ার সীমান্তে। ইতিমধ্যে ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সদস্য হয়েছে এবং রাশিয়ার সাথে ফিনল্যান্ডের রয়েছে ৮৩২ মাইল বা ১৩৪০ কিলোমিটার সীমান্ত। ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদান রাশিয়ার জন্য ভূ-রাজনৈতিক, সামরিক ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। রাশিয়ার আরেক প্রতিবেশী সুইডেনও ন্যাটোর সদস্য হতে চলেছে, যা রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ বিরাজমান থাকতে পারে। ইউক্রেনে সংঘাত বৃদ্ধির সাথে সাথে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার এবং পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকিও অব্যাহত থাকবে। ’যুক্তরাষ্ট্র তার সকল শক্তির পূর্ণ শক্তি দিয়ে ন্যাটো অঞ্চলের প্রতিটি অঞ্চলের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষা করবে’- বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই উক্তিই বলে দেয় যুদ্ধের আশংকা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
যুদ্ধ থামবে বা পক্ষদ্বয়ের জয়-পরাজয়ের মধ্যদিয়ে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটবে, এমন কোনো সম্ভাবনা আপাতত দেখছেন না বিশেষজ্ঞজনেরা। কেননা, যুদ্ধে জয় না পাওয়া এবং ব্যাপক ক্ষতি হওয়া সত্তে¡ও কোনো পক্ষই দৃশ্যমান ভেঙে পড়ছে না বা পিছিয়ে পড়ার জন্য প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে না।(দ্য রান্ড বøগ)। এই বছরে যুদ্ধ শেষ হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে ’এটি সম্ভাব্য নির্ধারক বছর ’ বলেছেন বেলফোর সেন্টারে কর্মরত একজন সিনিয়র ফেলো ও সিআই এ-র সাবেক পারমাণবিক সন্ত্রাস দমন বিষয়ক কর্মকর্তা রল্ফ মোওয়াট লারসেন(দ্য হার্বার্ড গেজেট)। ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর ন্যাভাল অ্যানালাইসিসের রাশিয়া স্টাডিজের গবেষণা পরিচালক মাইকেল কফম্যান মনে করেন, ‘যুদ্ধ স্থায়ী হতে পারে। কয়েকবছর ধরে যুদ্ধ চলতে পারে।’
ইতালীয় বিশ্লেষক লুসিও কারাসিওলো মনে করেন, এই যুদ্ধ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্হায়ী হবে। ‘এটি কেবল তখনই বন্ধ হবে, যখন ইউক্রেন বা রাশিয়া বা উভয়েরই পতন হবে, যেহেতু উভয়পক্ষের জন্য এটি জীবন বা মৃত্যুর বিষয়’ যোগ করেন ইতালীয় ভূ-রাজনীতি প্রকাশনা লাইমসের সম্পাদক কারাসিওলো। (ডিফেন্স নিউজ ১৩ ফেব্রæয়ারী ২০২৩)। এই যুদ্ধ ইউরোপের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ক্ষুন্ন করেছে এবং একই সাথে পারমাণবিক যুদ্ধেরও ঝুঁকি বৃদ্ধি করেছে। যুদ্ধ ব্যয়বহুল হবে, অনেক জীবন ব্যয় হবে এবং সম্ভবত কমপক্ষে কয়েকবছর স্হায়ী হবে এবং এমনকি অন্তহীন হয়ে উঠতে পারে এই যুদ্ধ।
লেখক :      অ্যাডভোকেট আনসার খান ,  আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading