রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নারী হলে হয়তো ইউক্রেনে হামলা করতেন না বা এই যুদ্ধ শুরু করতেন না। বুধবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিসন জনসনের দাবি ছিল এটি। এবার খোদ পুতিনই সেই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার তুর্কেমিনস্তান সফররত পুতিন সাংবাবিদকদের জানিয়েছেন, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার ফকল্যান্ড দখল করতে সেনা পাঠিয়েছিলেন। অর্থাৎ নারী হলে কেউ যুদ্ধ করবে না বা সেনা পাঠাবে না তা জনসনের তত্ত্বের পুরোই উল্টো।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘আমি কেবল সাম্প্রতিক ইতিহাসের ঘটনাগুলো স্মরণ করতে চাই, যখন মার্গারেট থ্যাচার ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের জন্য আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সুতরাংম একজন নারী সামরিক পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আজ যা ঘটছে সেটি নিয়ে যে রেফারেন্স দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ সঠিক নয়।’

১৯৮২ সালে আর্জেন্টিনা ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত ফকল্যান্ড দ্বীপটি দখল করে নিয়েছিল। এ নিয়ে যুদ্ধ বেঁধে যায় আর্জেন্টিনা ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে।

ওই ঘটনায় ব্রিটেনের ভূমিকার সমালোচনা করে পুতিন বলেছেন, ‘ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ কোথায় আর ব্রিটেন কোথায়? থ্যাচারের কর্মকাণ্ড সাম্রাজ্যবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্যই পরিচালিত হয়েছিল।’

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading