জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ জনে। নিহতদের বেশিরভাগই নর্থ রাইন-ওয়েস্টফেলিয়া ও রাইনল্যান্ড-পালাটিনেট রাজ্যের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এ ছাড়া বন্যায় প্রতিবেশী বেলজিয়ামে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

দেশটির লিগে শহরের বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বলা হয়েছে। ভারি বৃষ্টিপাতের প্রভাব পড়েছে নেদারল্যান্ডেও। বন্যায় দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় লিবার্গ প্রদেশে অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে এসব দেশে বন্যা দেখা দিয়েছে।

রাইনল্যান্ড-পালাটিনেট রাজ্যের প্রধান মালু ড্রেয়ার ভয়াবহ এই বন্যাকে ‘বিপর্যয়’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বন্যায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে, অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন এবং অনেকেই ঝুঁকিতে রয়েছেন। নিজেদের জীবন বাজি রেখে আমাদের সবগুলো জরুরি সেবার কর্মীরা সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন।’

প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ে হতবাক হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জার্মান চ্যাঞ্চেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল।

প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে বুধবার থেকে জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এতে বহু সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সরিয়ে নিতে হয়েছে বিপুল সংখ্যক মানুষকে। বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি সড়ক। বন্যার কারণে রাইনল্যান্ড-পালাটিনেটের ভলকানেফেল জেলায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় নর্থ রাইন-ওয়েস্টফেলিয়ার বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে ভারী যন্ত্রপাতিসহ দুই শতাধিক সেনা পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেশী রাইনল্যান্ডে কাজ করছেন অন্তত ৭০ জন সেনা। উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে পুলিশের বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টারও।

বন্যার কারণে পশ্চিম জার্মানির দুই লক্ষাধিক বাড়ি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিঘ্ন ঘটছে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহেও। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে যানবাহন চলাচলও ব্যাপকভাবে বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানা গেছে।

জার্মান আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশটির দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি ঝরবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading