মা এবং প্রসুতী(প্যারগনেট্) মেয়ের কথাপোকথন :
মেয়ে : মা আমার ব্যথা উঠলে আমাকে ঘুম থেকে ঢাক দিয়ে উঠাইয়ো ।
মা : উওরে , মারে তোমার ব্যথা উঠলে আমার ঢাক দেওয়া লাগবে না। তুমিই পাড়াপড়শীরে ঘুম থেকে উঠাইবা।
কথাটি বলছিলাম, এই বিজয়ের মাসে সবচাইতে গর্বিত দলটির নাম আ লীগ । এই দলটির এবং বাংলাদেশের সবচাইতে গর্বিত মানুষটির নাম নিশ্চিত বঙ্গবন্ধু । এই দলটির রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণেই আজকের বাংলাদেশ । যে দলটির নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন একটি পতাকা ও ভুখন্ড এই পৃথিবীর বুকে রচিত হয়েছে। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে, দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ দলটিই আ লীগ ।
আ লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি/ জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা ভাষানী/ এম সামছুল হক, দুজনেই টাঙ্গাইল জেলার । বিষয়টি কাকতালীয় কিনা জানিনা , গর্বিত টাঙ্গাইল নিয়েও আমার লেখার বিষয় না। আ লীগের প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে আজ অব্দি, কত নেতা / নেত্রী এলেন গেলেন । কত নেতা/নেত্রী হারিয়ে গেলেন , অনেকেই নানাবিধ কারণে ভিন্ন দলে আবার অনেকেই মনে দুঃখ নিয়ে অন্য কোনো দলের সাথে না থেকে নিরব নিরবচ্ছিন্ন রইলেন । আ লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা ভাসানী থেকে শুরু করে অনেক বড়ো বড়ো জাঁদরেল নেতা শেষ অব্দি আ লীগের সাথে থাকতে পারেননি। নাম পদবি উল্লেখ করলে লেখা অনেক বড়ো হয়ে যাবে বিধায় লিখলাম না । একটু কস্ট করে ইতিহাস ঘাঁটলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। যে সকল সাবেক আ লীগের নেতা বা তুখোড় তুখোড় ছাত্রলীগের সাবেক প্রেসিডেনট/ সেক্রেটারি বা উল্লেখ যোগ্য অনেক বড়ো বড়ো নেতা আছেন , যারা এখনও জীবিত আছেন , কিন্তু যে কোনো কারণেই হোক আ লীগের সাথে নেই। যারা পরলোকগত হয়েছেন তাদের কথা বাদ দিয়েও যদি বলি , এখনও অনেকেই এক সময়কার তুখোড় নেতারা আছেন যারা আ লীগের সাথে থাকতে পারেননি বা নেই। কিন্তু কেন থাকতে পারেননি বা নেই ? এই উওরটি কে দিবে ?
দুঃখজনক হলেও সত্যি ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুর মর্মান্তিক বিয়োগের সময় , বঙ্গবন্ধু নিজেও কিন্তু আ লীগের থেকে পরলোক হননি। এখানে স্পষ্ট করা ভালো যে বিষয়টি কঠিন সত্য , কেননা তখন বাকশাল ছিলো। তবে একথা স্পষ্টভাবে বলা ভালো যে , বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ , বঙ্গবন্ধু মানেই আ লীগ । তিনি ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন , এখানে কোনো কিন্তুর সুযোগ নাই।
এই বিজয়ের মাসে গর্বিত আ লীগের ভেবে দেখার সময় হয়েছে , কেন এমনটি হয়েছে। যাদের এত অবদান
আ লীগে ছিলো , তারা কেনো কালের আবর্তে আ লীগ
থেকে হারিয়ে ছিলেন । কেন এখনও বুকে অনেকে কস্ট নিয়ে , ভিন্ন দলের সাথে না থেকে নিরব নিরবচ্ছিন্ন হয়ে আছে। অনেকের নাম বলা যাবে , নাম লিখবো না।
ঐতিহ্যবাহী দলটি বিষয়টি বিবেচনায় নিলে দলটির লাভই বেশী হবে , সাথে দেশের । কথা গুলো বলছি , কেননা এত ঐতিহ্যবাহী দলটিতে নাকি ইদানিং অতিমাত্রায় কাক/মুরগি/ ময়ুর/ পংখীতে ভরা। বসন্তের কোকিলরা কিন্তু বসন্তেই দেখা দেয় ।
কার লেখা বলতে পারবো না ।
ইস্কুল জীবনে একটি ভাব সম্প্রসারন পড়তাম :
” কেরোসিনের প্রদীপ
মাটির প্রদীপ কে বলে ডেকে
ভাই বলে ডাকো যদি
দেবো গলা টিপে
হেন কালে গগণেতে উঠিলো চাঁদা
কেরোসিনের প্রদীপ বলে
এসো এসো মোড় দাদা ” ।
উল্লেখিত ভাব সম্প্রসারণটি আ লীগ বিবেচনায় নিলেই দলটির জন্য মঙ্গল ( ব্যক্তিগত মতামত) ।
উল্লেখিত মা আর প্রসুতী মেয়ের কথাই বলতে হয়। প্রসুতীর ব্যথা উঠবেই একদিন না একদিন। এই বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারি দলটির প্রতি সম্মান জানাই এবং অদূর ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা ।