সিসিলিয়ান বন্দর ছেড়ে যেতে ইতালীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করেছে দাতব্য সংস্থা পরিচালিত একটি অভিবাসী উদ্ধারকারী জাহাজের ক্যাপ্টেন। গতকাল রোববার জাহাজে থাকা ৩৫ জন অভিবাসীকে নামতে দেয়া হয়নি। খবর এপি।

সম্প্রতি ইতালিতে ক্ষমতায় এসেছে রক্ষণশীল সরকার। তারা অভিবাসী ও বিদেশী পতাকাবাহী উদ্ধার জাহাজের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে।

এর মধ্যে জর্জিয়া মেলোনির নেতৃত্বাধীন সরকার ভূমধ্যসাগর থেকে চারটি জাহাজকে বন্দরে নিরাপদ অবতরণের আবেদন প্রত্যাখ্যান করছে। ওই জাহাজগুলো ১৬ দিন আগে সমুদ্র থেকে অভিবাসীদের উদ্ধার করেছে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের নামার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

‘হিউম্যানিটি ১’ নামের জাহাজে রয়েছে স্বজনহীন ১০০ জনের বেশি অপ্রাপ্তবয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তি। মোট ১৪৪ জন অভিবাসীকে নামানোর পর গতকাল জাহাজটিকে কাতানিয়া বন্দরটি খালি করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু জাহাজ পরিচালনাকারী জার্মান দাতব্য সংস্থা এসওএস হিউম্যানিটি বলেছে, সামুদ্রিক দুর্দশা থেকে উদ্ধার হওয়া সব জীবিত ব্যক্তি বন্দরে না নামা পর্যন্ত ক্যাপ্টেন তা মানতে অস্বীকার করেছিলেন। জাহাজে এখনো ৩৫ জন অভিবাসী রয়েছে।

গতকাল আরেকটি দাতব্য জাহাজ বন্দরে পৌঁছেছে। ডক্টরস উইদাউট বর্ডার পরিচালিত ‘জিও ব্যারেন্টস’ জাহাজে ৫৭২ জন অভিবাসী ছিল। এর মধ্যে যাচাইবাছাই শেষে ৩৫৭ জনকে অনুমতি দেওয়া হলেও বাকি ২১৫ জন জাহাজে রয়েছে।

এ ছাড়া বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত আরো দুটি জাহাজ সমুদ্রে আটকা পড়ে আছে। কোন বন্দর উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের নিতে ইচ্ছুক নয়।

এ সব ঘটনায় মানবাধিকার সংস্থা, সংগঠক ও সিসিলি ভ্রমণকারী দুই ইতালীয় আইনপ্রণেতা অসন্তুষ্টি জানিয়েছে। তারা অভিবাসী নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অবৈধ ও অমানবিক বলে উল্লেখ করেন। তবে ইতালির নতুন স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেডোসি মানবপাচারে উৎসাহ দেয়ার জন্য বেসরকারি সংস্থাগুলোকে দায়ি করেছেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading