ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ-সহ বিভিন্ন অঞ্চলে আবারও বিমান হামলা জোরদার করেছে রুশ বাহিনী। বিদ্যুৎ পরিষেবা কেন্দ্র, হাসপাতাল লক্ষ্য করে চলছে হামলা। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও বিমান হামলায় নিহতের খবর মিলেছে। কিয়েভের মেয়র বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউক্রেনকে সবচেয়ে ভয়াবহ শীতকাল কাটাতে হচ্ছে। অন্য দিকে, ক্রাইমিয়ায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে মস্কো। ক্রেমলিনের কর্তারা জানিয়েছেন, রুশ বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে। বুধবারই দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত ইউক্রেনের জ়াপোরিজিয়ার একটি হাসপাতালে এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। মারা যায় দু’দিন বয়সি এক শিশু।
আমেরিকার এক সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, বুধবার দক্ষিণ ইউক্রেনের একটি হাসপাতালের উপর হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর ফলে ওই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে ২ দিন বয়সি একটি শিশু মারা গিয়েছে। প্রসূতি বিভাগের ধ্বংসাবশেষ থেকে শিশুটির মা-সহ একটি চিকিৎসককে উদ্ধার করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, হামলার ফলে হাসপাতালের নিকটবর্তী বাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হামলার আশঙ্কায় আগেই বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ইউক্রেন প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পরে বুধবারই ইউক্রেনের দক্ষিণ এবং পূর্ব সীমান্তে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে রুশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। এমনকি, শীতের মরসুমে ইউক্রেনবাসীকে বিপদে ফেলার জন্য সেখানকার বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিকেও নিশানা করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদ্যুতের অভাবে যাতে ইউক্রেনবাসী সমস্যার মুখে পড়েন, তা-ই চাইছে রাশিয়া, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে।