বাংলাদেশ এক চীন নীতিতে বিশ্বাসী মন্তব্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, চীন আমাদের উন্নয়ন সহযোগী ও বিশ্বস্ত বন্ধু। সেজন্য আমরা এক চীন নীতিতে বিশ্বাসী।

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে চীনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুই বার চীন সফর করেছেন। তিনি দেশে ফিরে এসে বইও লিখেছেন। সেটি হলো—‘আমার দেখা নয়া চীন’।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং পারস্পরিকভাবে দুই দেশ সফর বিনিময় করেছেন। চীন করোনাকালে আমাদের টিকা সহায়তা দিয়েছে। কর্ণফুলীসহ দেশের অনেক বড় প্রকল্পে চীন সহায়তা দিয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের সহায়তা প্রত্যাশা করেন এম এ মান্নান।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, বাংলাদেশ ও চীন একে অপরের বিশ্বস্ত বন্ধু। সে কারণেই কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবং মহামারি পরবর্তী পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও চীন সব সময় একসঙ্গে দাঁড়িয়েছে। আমরা একে অপরকে মহামারি বিরোধী সরঞ্জাম, টেস্টিং কিট, ভ্যাকসিন ইত্যাদিতে সাহায্য করেছি। মহামারি চলাকালে আটকে পড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে নিতে আমরা ভিসা দেওয়া পুনরায় শুরু করেছি। তাদের জন্য নির্ধারিত ছয়টি চার্টার্ড ফ্লাইট চালু হবে। এর মধ্যে প্রথম ফ্লাইট আগামী পরশু যাত্রা করবে।

চীনা রাষ্ট্রদূদ আরও বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ ও চীন উভয় দেশই অবিশ্বাস্য সাফল্যের মাধ্যমে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, কূটনীতিক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছর চীনের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হচ্ছে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading