পদত্যাগ করতে বলায় এবার দলের এক শীর্ষ মন্ত্রীকে বহিষ্কার করেছেন ব্রিটেনের কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বার্তা সংস্থা এএফপি বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সমালোচার জেরে কমিউনিটি সেক্রেটারি মাইকেল গভকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করেন বরিস জনসন।

জনসনের সংসদীয় প্রাইভেট সেক্রেটারি জেমস ডুড্রিজ স্কাই নিউজকে বরখাস্কের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ক্ষমতাসীন কনসারভেটিভ পার্টির মধ্যে তীব্র বিদ্রোহ এবং মন্ত্রিসভা থেকে একের পর এক পদত্যাগের পর তার প্রধানমন্ত্রীত্ব রক্ষার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন।

বরিস জনসনের নেতৃত্বাধীন সরকার থেকে পদত্যাগ করছেন একের পর এক মন্ত্রী ও সরকার বিষয়ক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। বরিস জনসনের পদত্যাগের দাবি আরও জোরালো হচ্ছে। তবে এতো কিছুর পরও শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন বরিস জনসন।

বুধবার বাংলাদেশ সময় স্থানীয় সময় সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ২৭ জন তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

মঙ্গলবার চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ প্রথম পদত্যাগ করেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী উইল কুইন্সসহ বেশ কয়েকজন বুধবার পদত্যাগ করা শুরু করেন। ধীরে ধীরে পদত্যাগকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

বুধবার পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে তাকে যে তীব্র প্রশ্নবানের মুখোমুখি হতে হয়, সেখানে অবশ্য তিনি বলেছেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনে জনগণ তাকে বিপুল ম্যান্ডেট দিয়েছে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যেতে চান।

কনসারভেটিভ পার্টিতে মাত্র মাসখানেক আগে বরিস জনসনের নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। দলের পার্লামেন্টারি পার্টির ভোটাভুটিতে তিনি সে যাত্রায় টিকে যান।

কিন্তু এবার যেভাবে একের পর এক পদত্যাগ শুরু হয়েছে, তাতে কনসারভেটিভ পার্টির ভেতর তার প্রতি অনুগত অনেককেই পক্ষত্যাগ করতে দেখা যাচ্ছে।

বরিস জনসন ২০১৯ সালে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হন। কিন্তু গত দুবছর ধরেই তিনি একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে দলের মধ্যে অনেকের আস্থা হারিয়েছেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading