খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগের রূপকল্প ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’বাস্তবায়নের ফলে সরকারের সর্বস্তরের ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হয়েছে। এর ফলে দুর্নীতি অনেকাংশেই কমে গেছে।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) সকালে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিহাব রায়হান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, সিভিল সার্জন এবিএম আবু হানিফ প্রমুখ।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সেবা এখন গ্রাম-গঞ্জসহ দেশের সবখানে পৌঁছে গেছে। এর সুফল দেশের ১৭ কোটি মানুষ পাচ্ছে। অথচ ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প ঘোষণা করেছিলেন, তখন অনেকেই এটিকে হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছিলেন। এখন তারাই বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে সরকারের সর্বস্তরের ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হয়েছে। এর ফলে দুর্নীতি অনেকাংশে কমেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের ইতিবাচক সুফল দেশের সকল মানুষ ভোগ করতে শুরু করেছে। বিশেষ করে করোনাকালে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও অনলাইনভিত্তিক ক্লাস পরিচালনার ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতির অনলাইনে সভা-সেমিনার ও করোনার টিকার নিবন্ধন করে করোনা মোকাবিলায় করা সম্ভব হয়েছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকার ডিজিটাল পদ্ধতিতে অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি মিলার এবং কৃষকদের কাছ থেকে ধান-চাল ক্রয় কার্যক্রম সম্পাদন করছে। এতে কৃষক হয়রানি ও দুর্নীতি কমে গেছে।
এ সময় মন্ত্রী নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল পদ্ধতিকে সঠিকভাবে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করার এবং অপব্যহার থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান।