চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার পর এবার বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা মাদক মামলায়ও জামিন পেয়েছেন নাসির উদ্দিন মাহমুদ। এ মামলায় গ্রেপ্তার তার তিন সহযোগিরও জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৩০ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় চার জনের জামিনের আদেশ দেন।
মাদক মামলায় জামিন হওয়ায় নাসির উদ্দিনের মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী আমানুল করিম লিটন।
তিনি বলেন, ‘নাসির উদ্দিন ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার, কেরানীগঞ্জে আছেন। আশা করছি, তিনি আজই কারামুক্ত হবেন।’
নাসির উদ্দিনের সঙ্গে জামিন পাওয়া তার তিন সহযোগী হলেন- লিপি আক্তার, সুমি আক্তার ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধা।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন দুপুরে সাভার থানায় নাসির উদ্দিন এবং অমির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেন পরীমনি। মামলা দায়েরের পর অভিযানে নামে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওই দিনই নাসির উদ্দিন, অমিসহ পাঁচজনকে উত্তরার একটি বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
অভিযানে ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ-বিয়ার ও ইয়াবা জব্দ করা হয়। সেদিন রাত ১২টা ৫ মিনিটে ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার শিকদার বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
১৫ জুন বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ এবং তুহিন সিদ্দিকী অমির সাত দিন এবং ওই তিন নারীর তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রিমান্ড শেষে নাসির উদ্দিন এবং অমির গত ২৩ জুন পরীমনির মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২৯ জুন নাসির উদ্দিন এবং অমিকে পরীমনির মামলায় জামিন দেন আদালত।
এদিকে নাসির উদ্দিন কারামুক্ত হতে পারলেও অমি পারছেন না। কারণ, তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানার মাদক মামলা, দক্ষিণখান থানার মানবপাচার ও পাসপোর্ট আইনের মামলা রয়েছে। মানবপাচার মামলায় অমির দুই দিন এবং পাসপোর্ট আইনের মামলায় একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।