মূল ঘটনা বছর দুই আগের। এক জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব পেয়েছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের বর্তমান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু, সেই প্রস্তাবের কথা তিনি আইসিসিকে জানাননি। যার জেরে বড়সড় শাস্তির মুখে পড়তে পারেন বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডার। ঢাকার ক্রিকেট মহলে জল্পনা, সাকিব আল হাসান ১৮ মাসের জন্য সমস্তরকম ক্রিকেট তথা ক্রিকেট সম্পর্কিত কার্যকলাপ থেকে নির্বাসিত হতে পারেন। আসন্ন ভারত সফরের আগে যা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বড়সড় ধাক্কা হতে পারে।
সোমবার রাত থেকেই ঢাকায় জোর জল্পনা, ১৮ মাসের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হচ্ছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। ২ বছর আগে জুয়াড়ির প্রস্তাব পেয়ে আইসিসিকে না জানানোর কারণে এমন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে যাচ্ছেন তিনি। জুয়াড়িদের কল রেকর্ড ট্র্যাকিং করে বিষয়টি পরে জানতে পারে আইসিসি। আর সাকিব ব্যপারে বেশ কড়া আইসিসি। কারণ, তিনি ইতিমধ্যেই আইসিসির দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত প্রায় ২৫টি প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও এত বড় ভুল কী করে হল, জানতে চায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা। আইসিসির আইন অনুযায়ী, কোনও ক্রিকেটার কোনও জুয়াড়ির কাছ থেকে কোনও প্রস্তাব পেলে সেটি ক্রিকেটের দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা আকসুকে জানাতে হয়। এটি করতে ব্যর্থ হলে সর্বনিম্ন ৬ মাস থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের নির্বাসন হতে পারে। অভিযোগ, সাকিবের কাছে আসা প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেন এবং বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। এই প্রস্তাবের কথা তিনি আকসুকেও জানাননি। এ বিষয়ে সাকিবের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
শুদ্ধস্বর/এস এ কে