আন্দোলন জমাতে বিএনপি রাজপথে লাশ ফেলার চক্রান্ত করছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এভাবে সরকার হঠানো যাবে না।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি)-তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব আন্দোলন করতে করতে গলা শুকিয়ে যায়, কিন্তু মরা নদীতে জোয়ার আসে না। জোয়ার কি আসবে কখনও?’
‘নেতাকর্মীর আন্দোলন দিয়ে ইতিহাসে সরকার হটানো যায়নি। এখনও আপনাদের নেতাকর্মীদের সাতে জনগণ যোগ দেয়নি। কোন মুখে বলেন ফয়সালা হবে। হবে…হবে…ফয়সালা হবে…ফয়সালা হবে আগামী নির্বাচনে। ফাইনাল খেলা…তখন দেখা যাবে কে হারে কে জিতে। রাজপথে এখন কী চক্রে আপনারা আছেন আমরা জানি।’
বিএনপি লাশের রাজনীতি করছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘টেমস নদীর ওপার থেকে দণ্ডিত…অর্থ পাচারকারী অপরাধী যুবরাজ হাঁকডাক দিচ্ছেন, সেই ডাকে টেমস নদীতে ঢেউ উঠেছে কিনা জানি না। তবে পদ্মা, মেঘনায় ঢেউ নেই। বিএনপির শুকনো নদীতে জোয়ার আর আসে না। চিৎকার যতো পারেন করেন। আমিও বলছি ফয়সালা হবে…ফয়সালা হবে আগামী নির্বাচনে।’
‘রাজপথে হুমকি দিয়ে লাশ ফেলতে চান। আপনারা এখন লাশ ফেলার দুষ্ট চক্রে আবদ্ধ হচ্ছেন। লাশ ফেলে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন কোনও আন্দোলনে ফয়সালা বিরোধী দল করতে পারে না।’
বিএনপির আন্দোলনে জনগণের কোনও সাড়া নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সরকার হটাবেন? এখনও জনগণ সাড়া দেওয়ার কিছু নেই। জনগণ কারও সাথে মারামারি করে না। আপনাদের আন্দোলন মানেই নিজেরা নিজেরা মারামারি, চেয়ার ছোড়াছুড়ি। আপনাদের বিক্ষোভ মানেই পুলিশের দোষ, পুলিশের ওপর হামলা। পুলিশের ওপর হামলা, তো পুলিশ আত্মরক্ষা করবে না?’
বিএনপির সরকারের শাসনামলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের স্মৃতিচারণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনাদের হাতে রক্তের দাগ…মির্জা ফখরুল আপনাদের সতর্ক করে দিতে চাই…আপনাদের হাতে রক্তের অনেক দাগ। ২১ হাজার আওয়ামী লীগ কর্মী, আহসানউল্লাহ মাস্টার, মাজহারুল ইমাম, এ এম এস কিবরিয়া এদের রক্তে আপনাদের হাত রঞ্জিত।’
‘আমরা আপনাদের কাউকে হত্যা করিনি। হত্যা সন্ত্রাসের রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করি না। আমাদের নেত্রীর ওপর কতোবার হামলা হয়েছে, কিন্তু খালেদা জিয়াকে কেউ মারতে যায় না। কাকে অপবাদ দেন?’
জিয়াউর রহমানের হত্যার তদন্তে বিএনপির কমিশন গঠনের প্রসঙ্গে কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান হত্যার কমিশন হবে…ক্ষমতায় গেলে হবে, কবে…তো যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন কেন করলেন না। আপনাদের ভেতরে অনেকেই আছে জিয়াউর রহমানের হত্যার পেছনে দুরভিসন্ধি আছে, চক্রান্তও আছে। না হলে কেন কমিশন করলেন না।
‘লাশের কাহিনীও সবাই জানে। চট্টগ্রাম থেকে লাশ এনে প্যারেড গ্রাউন্ডে জানাজা পড়লেন। সেই লাশ চন্দ্রিমা উদ্যানে সমাহিত করলেন। আমি লাশ তুলে ফেলতে বলছি না। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যে প্রশ্নের জবাবে সবসময় ফখরুল নিরুত্তর, নো রেসপন্স…পঞ্চম সংশোধনী আর খালেদা জিয়ার ৬টি জন্ম দিবস..এই প্রশ্নগুলোর জবাব ফখরুল সাহেবের কাছে চেয়েছি। পাইনি।’
তিনি বলেন, ‘এগুলো বললেই বলে ওবায়দুল কাদের জিয়াউর রহমান আর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে শিষ্টাচার বহির্ভূত কথা বলে। এখানে শিষ্টাচারের কী? সত্য জানতে চেয়েছি। জিয়াউর রহমানের লাশ দাফনের সময় কেউ দেখেছে। কোনও ছবি আছে। একটা ছবি দেখান।’