রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় পুলিশ হেফাজতে সুমন শেখ নামে তরুণের ‘মৃত্যুর’ ঘটনায় মামলা করতে আদালতের দারস্থ হয়েছে তার পরিবার।

আজ রোববার সুমনের পরিবার আদালতে আসেন।

এ সময় সুমনের স্ত্রী জান্নাত বেগমের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম মোশাররফ গণমাধ্যমকে বলেন, সুমনের মৃত্যুর ঘটনায় ‘ন্যায়বিচার’ পেতে তারা আদালতের দারস্থ হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা লাশ গ্রহণ করিনি, আদালতে এসেছি বিচার চাইতে। লাশ নেওয়ার বিষয়ে আমরা পরে সিদ্ধান্ত নেব, আগে আদালতের কাজ শেষ হোক।’

পুলিশের জানায়, চুরির অভিযোগে গ্রেফতার সুমন শুক্রবার মাঝরাতের পর হাজতে ‘গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা’ করেন। এর একটি সিসিটিভি ভিডিও স্বজনদের দেখানো হয়েছে।

তবে সুমনের পরিবারের দাবি, ‘গ্রেফতারের পর সুমনকে থানায় মারধর করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে। থানা হাজতে নির্যাতনের সময় সুমনের মৃত্যু হয়। পুলিশের দেখানো সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে সুমনের লাশ বা ঝুলন্ত দেহ ছিল না। তার বিরুদ্ধে আনা চুরির অভিযোগও সঠিক নয়।’

সুমনের স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘পুলিশ মারতে মারতে আমার স্বামীকে হাজতে নিয়ে আসে। রাতে আমি থানায় দেখতে আসছিলাম, আমারে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে বের করে দিছে।’

উল্লেখ্য, ইউনিলিভারের পিউরিট কোম্পানি থেকে ৫৩ লাখ টাকা চুরি হওয়ার ঘটনায় গত শুক্রবার বিকেলে রামপুরা মহানগর এলাকার বাসা থেকে সুমন শেখকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের দিন সকালে আদালতে তুলার কথা থাকলেও সেই দিন রাতে পরনের ট্রাউজার দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেন সুমন।

এত ক্ষুব্ধ হয়ে সুমনের স্বজনরা শনিবার বিকেলে থানার সামনে বিক্ষোভ করে।

রাজধানীর হাতিরঝিল থানা হেফাজতে থাকা সুমন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করাও হয়।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading