বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলাদেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। জ্বালানির দাম বৃদ্ধির পর শুক্রবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষোভ জানাচ্ছেন নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন। বিশেষভাবে মোটরসাইকেল চালকরা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

শনিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীতে একটি মিছিল থেকে পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। এ অবস্থায় আগ্রাসীভাবে নয়, বরং সব দিক বিবেচনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ‘ধৈর্য ধরে’ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের সদস্য, সব বিভাগের উপ-কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেন কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। মোবাইলে এসএমএস এবং ওয়ারলেসে পাঠানো হয় এ সংক্রান্ত বার্তা। ডিএমপির একাধিক উপ-কমিশনার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডিএমপির সদস্যদের ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে। কেউ আইন হাতে তুলে নিয়ে ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগ না করলে পুলিশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।’

শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাত ১২টার পর থেকে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য লিটারপ্রতি ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোল ১৩০ টাকা হবে। এরপর থেকে নতুন দামে জ্বালানি তেল বিক্রি হচ্ছে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading