লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জে বাসের মধ্যে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা চালিয়েছে বখাটেরা। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শাহজাহান নামে এক নৈশ প্রহরীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পরে ভিকটিম তরুণীকে উদ্ধার ও আজাদ নামে এক অভিযুক্তকে (জননী বাসের হেলপার) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি শনিবার রাত ২টার দিকে নিশ্চিত করেছেন রামগঞ্জ থানার ওসি। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রামগঞ্জের বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের খুঁজছে পুলিশ। নিহত শাহজাহান মিয়া উপজেলার কাজিরখীল এলাকার নুরুজ্জামান মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ঘটনার শিকার ভিকটিম তরুণী চাটখিল থেকে নোয়াখালী সোনাপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভুলবশত জননী নামে একটি বাসে উঠে পড়ে। পরে বাসটি রামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে ওই তরুণীকে নামিয়ে দেয়। এ সময় ঘটনাটি উক্ত বাসের চালক ও হেলপারকে জানালে তারা যুবতীকে চট্টগ্রামগামী নীলাচল নামীয় বাসে বসতে বলেন। পরে জননী বাসের হেলপার আজাদ স্থানীয় বখাটে যুবক এমরান হোসেনসহ ৩ জন সংঘবদ্ধ হয়ে বাসে অপেক্ষমাণ তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণচেষ্টা চালায়।
পরে তরুণীর চিৎকারে বাসস্ট্যান্ডের নৈশ প্রহরী শাহজাহান এগিয়ে আসে। পরে তাদের বাধা দিতে গিয়ে বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ সময় স্থানীয়রা ভিকটিম তরুণীকে উদ্ধার ও আজাদকে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে নৈশ প্রহরীর মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগী তরুণী নিজে বাদী হয়ে থানায় ৩ বখাটের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেছেন। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে, অপর অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।