সাভারের বলিয়াপুর এলাকায় দু’টি বাস ও একটি ট্রাকের সংঘর্ষে ঘটনায় অভিযুক্ত ‘সেইফ লাইন’ পরিবহন বাসের চালক মারুফ হোসেন মুন্না (২৪) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে এই ঘটনায় মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ জনে।
মঙ্গলবার (৭ জুন) সকালে চালক মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন সাভার হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) আতিকুর রহমান।
এর আগে, গত রোববার (৫ জনু) দুপুরে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে ডিএমপির শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ মরদেহের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের পর সোমবার (৬ জুন) রাতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
নিহত মারুফ হোসেন মুন্না চাঁদপুর জেলার শাহারাস্তি থানার বোয়ালিয়া গ্রামের মোস্তফা কামালের ছেলে। সে বাস চালক ছিল ও মিরপুরের দারুস সালামের লালকুটি এলাকায় একাই থাকতো।
সাভার হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার দিন দুপুরেই বাস চালক মুন্না মারা গেছেন। বাসটির মালিকের নাম ইকবাল। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। মালিককে খুঁজে বের করা চেষ্টা চলছে। ওই বাসটি কুষ্টিয়া থেকে ঢাকা রুটে চলাচল করতো। সেদিন রাতে বাসটি কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে যে চালকের মৃত্যু হয়েছে। তাই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, রোববার (৫ জুন) সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের বলিয়াপুর এলাকায় সেইফ লাইনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিভাজন টপকে পরমাণু শক্তি কমিশনের বাস ও একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান আরিফ, অন্তঃসত্ত্বা পূজা সরকার, কাউসার রাব্বী ও পরমাণু শক্তি কমিশনের বাসচালক রাজীব হোসেন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছিলো ৩০ জন। ঘটনার দিন রাতে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে।