দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবার ওয়ানডে সিরিজ জিতে টাইগারদের অপেক্ষা এবার টেস্ট সিরিজের। ফরম্যাট বদলের সঙ্গে বদলেছে নেতৃত্ব এবং দলের খেলোয়াড়ও। ওয়ানডে সিরিজের দলে না থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত যুক্ত হয়েছেন টেস্ট দলে। ডারবানের কিংসমেড স্টেডিয়ামে দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে নেমেই হারিয়ে গেলেন পুরনো স্মৃতিতে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা না হলেও দেশটির বয়ঃভিত্তিক দলের সঙ্গে ২০১৫ সালে খেলেছিলেন শান্ত। সেবার প্রোটিয়া যুবাদের বিপক্ষে টানা দুটি ম্যাচও জিতেছিল টাইগার যুবারা।
সেই পুরনো স্মৃতি ফিরে এলো শান্ত’র মনে। ডারবান টেস্টের আগে আগে ওই দুই ম্যাচকে অনুপ্রেরণা হিসেবেও নিচ্ছেন এই ব্যাটার। শুধু ভেন্যু নয়, শান্ত’র বাড়তি পাওয়া প্রোটিয়া যুবা দলে থাকা কাইল ভেরিয়েন্নে, লুথো সিপামলা ও ভিয়ান মাডলার জায়গা করে নিয়েছেন টেস্ট দলে।
সেসব স্মৃতি মনে করে শান্ত বলেছেন, ‘খুব ভালো লাগছে। প্রায় ৭ বছর আগে এসেছিলাম এখানে (কিংসমেড)। তখনো খুব ভালো স্মৃতি ছিল। কারণ, এখানে যে কয়টা ম্যাচ খেলেছি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে সবগুলো জিতেছি।’
প্রতিপক্ষ শিবিরে তিন ব্যাচমেটকে পাওয়া নিয়ে শান্ত বলেছেন, ‘সব থেকে বড় কথা যে এই টিমে যারা ছিল, মুডলার ছিল, সিপামলা ছিল ওদের সঙ্গে ম্যাচ খেলার আবার একটা সুযোগ। ওদের সঙ্গে খেলার জন্য মুখিয়ে আছি, অনেক দিন পর দেখা হবে। আশা করছি আমাদের এই ম্যাচগুলো ভালো যাবে এবং ভালো সময় কাটাব ইনশাআল্লাহ।’
যুব সিরিজ খেলতে গিয়ে প্রতিপক্ষের সিপামলা, মাডলারদের নিয়েও রয়েছে শান্তর দারুণ স্মৃতি। সে সফরও টাইগার যুবাদের জন্য ছিল দুর্দান্ত। এবারও তেমন কিছুই হোক সেটাই প্রত্যাশা শান্ত’র।
‘ভালো স্মৃতি বলতে ওদের টিমে বেশ কয়েকটা রাগবি খেলোয়ড় ছিল, তারা ব্যাটিংয়ে নামলে আমরা বুঝতাম না তারা ক্রিকেট খেলতে নামছে নাকি রাগবি খেলতে নামছে। মজার মুহূর্ত অনেক ছিল। কিন্তু দিন শেষে যেটা ছিল আমাদের দলের পরিবেশ অনেক ভালো ছিল, ভালো ক্রিকেট খেলছি, আমরা উপভোগ করেছি। অনেক কিছু শিখতেও পেরেছি, অনেক ভালো সময় কেটেছে।’