বিশ্বে বর্তমানে টেলিযোগাযোগশিল্পে সবচেয়ে আলোচিত ‘ফাইভ জি’ বা পঞ্চম প্রজন্মের সেবা দেশে আগামীকাল রোববার পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হচ্ছে।

এদিন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল ফোন কোম্পানি টেলিটকের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার চারটি এলাকায় এবং ঢাকার বাইরে দুটি এলাকায় এই সেবা চালু করা হবে। ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাশে, সংসদ ভবনের কাছে মানিক মিয়া এভিনিউতে, সচিবালয়ে এবং ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় টেলিটকের বিটিএস বা বেইস ট্রানসিভার স্টেশনের মাধ্যমে এটি চালু করা হবে। ঢাকার বাইরে চালু করা হবে টুঙ্গিপাড়ায় এবং সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায়। এর মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অন্যতম একটি নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হবে।

পঞ্চম ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় রেডিসন ব্লুতে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এই সেবার উদ্বোধন করবেন।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘২০২০ সালে বিশ্বের ৮টি দেশ ফাইভজি চালু করে। মালয়েশিয়া আগামী বছরের মার্চে চালু করবে। আমাদের জন্য সৌভাগ্য যে আমরা নবম বা দশম দেশ হিসেবে এই প্রযুক্তি চালু করছি।’

মন্ত্রী জানান, ‘টেলিটকের ফোরজি সিমেই ফাইভজি সেবা মিলবে। ফোরজি সিম ফাইভজিতে সক্রিয় করে নিতে হবে। তবে টেলিটক গ্রাহকরা সবাই এখনই এ সুবিধা পাবেন না। প্রথম পর্যায়ে নির্দিষ্ট কিছু গ্রাহকের ফোরজি সিম ফাইভজিতে সক্রিয় করে দেওয়া হবে। আর ফাইভজি সেবা পেতে হলে মোবাইল হ্যান্ডসেটটিও ফাইভজি সক্ষম হতে হবে। ভয়েস কল বা মোবাইল ফোনে কথা বলতে এ সেবা কাজে লাগবে না। সেবাটি ইন্টারনেটের গতি বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে।’

সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহাব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading