আফগানিস্তানে গত ২৯ আগস্ট সর্বশেষ হামলা চালিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় তারা বলেছিল, হামলায় কাবুল বিমানবন্দর এলাকায় আইএস-কে’র প্রধান মার্কিন ড্রোন হামলায় মারা গেছেন। তবে মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের বিশ্লেষণে ধরা পড়েছে সম্পূর্ণ বিপরীত ঘটনা।

নিউইয়র্ক টাইমসের ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, আইএস জঙ্গি নয়, বরং মার্কিন ড্রোন এক ত্রাণ কর্মীর ওপর আঘাত হেনেছে। নিহত ৪৩ বছর বয়সী গাড়ির চালক জেমারি আহমাদি, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের একটি ত্রাণ সংস্থার দীর্ঘদিনের কর্মী। তার গাড়িতে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্যও পাওয়া যায়নি। সেদিনের মার্কিন ড্রোন হামলায় শুধু আহমাদিই নিহত হননি। তার স্বজনরা জানিয়েছেন, ওই হামলায় তাদের পরিবারের সাত শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন।

ভিডিওতে আহমাদিকে তার গাড়ির পেছনে পানির জার তুলতে দেখেছে, যেগুলো পরিবারের জন্য বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা মনে করেন, গাড়িটিতে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বোমা বহন করা হচ্ছে এবং এটি কাবুল বিমানবন্দরে অবস্থানরত মার্কিন সৈন্যদের জন্য হুমকি।

গত ২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দর এলাকায় আত্মঘাতী হামলা চালায় আইএস-কে। ওই হামলায় মৃত্যু হয় অন্তত ১৭০ জন আফগান এবং ১০ আমেরিকানের। ২৯ আগস্ট এর পাল্টা জবাব দেয় আমেরিকা।

কিন্তু সপ্তাহ ঘুরতেই জানা গেছে, হামলায় আইএস-কের যে প্রধানের মৃত্যুর দাবি জানিয়েছিল আমেরিকা, তখন তিনি তবিয়তে ছিলেন। আমেরিকার ওই ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয়েছে আমেরিকারই এক সহযোগী আফগানের। এ ঘটনায় বিড়ম্বনায় পড়েছে বাইডেন প্রশাসন। তবে এ ঘটনা নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের তদন্ত প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন বিল আরবান।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading