গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ধানমণ্ডি থানার মামলায় আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে ফের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। একই মামলায় তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম হাসিবুল হক এই আদেশ দেন।  রাসেল ও শামীমার পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলেও আদালত সাড়া দেননি।

এদিন রাসেল ও শামীমাকে গুলশান থানার প্রতারণার মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে ধানমণ্ডি থানার মামলায় সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন এসআই নাজমুল হুদা।  অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা।

রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ড আবেদনের শুনানি করেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি সাজ্জাদুল হক শিহাব ও তাপস পাল। অন্যদিকে রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিন শুনানি করেন আসামিদের আইনজীবী ব্যরিস্টার এম মনিরুজ্জামান আসাদ।

শুনানি শেষে বিচারক রাসেলের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন, আর তার স্ত্রী শামীমাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত শনিবার রাতে রাসেল ও শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি করেন এক ব্যবসায়ী। মামলায় রাসেল দম্পতি ছাড়াও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়। পণ্য সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ইভ্যালির ধানমণ্ডি কার্যালয়ে তিনি ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের পণ্য সরবরাহ করেছেন। কিন্তু ইভ্যালি তার পাওনা টাকা পরিশোধ করেনি।

এদিকে গুলশান থানার মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে রাসেল দম্পতিকে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই ওহিদুল ইসলাম বলেন, তিন দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। আজ তাদেরকে আবার আদালতে হাজির করা হয়েছে। তবে এ দফায় আর রিমান্ডের আবেদন করা হবে না বলে জানান তিনি।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল দম্পতির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি করেন। মামলার পর ওই দিন বিকালেই তাদেরকে গ্রেফতার করে র্যাব।

গত শুক্রবার বিকালে আদালত রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading