ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’মোকাবিলায় সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। সোমবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় তিনি এ কথা জানান।বলেন. পুলিশ, আনসার, বিজিবি ও সিপিপি’র ভলান্টিয়ারসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রস্তুত রয়েছেন । নির্দেশনার ভিত্তিতে তারা কাজ করবেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি সোমবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।’

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকট সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের টিম কাজ করছে। পরিস্থিতি মনিটরিং করে আপডেট জানানো হবে। বিকেল নাগাদ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকায় শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে ভলান্টিয়াররা প্রস্তুতি নিয়ে আছেন। সবাইকে শেল্টারে আনতে বলা হয়েছে। এবার আমরা টার্গেট রাখব মৃত্যুহার যেন জিরো হয়।’

প্রস্তুতিমূলক এ সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শামসুদ্দীনসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, রেডক্রিসেন্ট, সিপিপিসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা বিভাগের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading