বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে গতকাল অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। যেখানে দেখা যায়, বিশেষ দিনের শ্রদ্ধা জানিয়ে মায়ের সঙ্গে কেক কাটেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তার বোনও।

ভিডিও’র ক্যাপশনে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘পৃথিবীতে সবার মা সবার কাছে সবচেয়ে প্রিয়। মা মানেই সারাক্ষণ ঝগড়া, আবার পছন্দের খাবার রান্না করে অপেক্ষা করা, আমার আম্মু আমাকে শুটিং এর সময় ফোন করে একটা কথাই জিজ্ঞেস করে, খাবার খাইলি? আর কোনো কথা নাই, কাজ কেমন হচ্ছে বা কিছু, সেটা জানার বিন্দুমাত্র প্রয়োজন নেই তার। আমি দুনিয়ার সব কঠিন চরিত্র করতে চাই, আর আমার মা বলে, আবার এমন কালি মেখে অভিনয় করতেছিস? সে আমাকে সারাক্ষণ সুন্দর দেখতে চায়। আমি হাসি, আম্মু তুমি কিছু বুঝ না, আমি অভিনেত্রী হতে চাই, আম্মু বলে অভিনেত্রী হতে হলে অসুন্দর লাগতে হবে কেন? আমি আর কথা বাড়াই না।

আমার মা তার পরিবারের ছোট মেয়ে, ভীষণ রাগী। অহংকারী, কথায় কথায় অভিমান। আমি যদি অন্য কাউকে তার চেয়ে একটু বেশি পাত্তা দিয়ে ফেলি খবর আছে। রাগে শেষ হয়ে যায়। আম্মু ভীষণ সরল, তার মত সরল হতে চাই।’

ভাবনার এই স্ট্যাটাসে নেটিজেনদের অনেকেই কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। কথা তুলেছেন পোশাক নিয়ে। বিষয়টি ভাবনার নজরে আসলে বাজে মন্তব্যকারী কয়েকজনে স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট তিনি তুলে ধরেন।

সঙ্গে লিখেছেন, ‘কালকে মা দিবস ছিল, তাই মা’কে নিয়ে আমরা দুই বোন ছবি পোস্ট করেছি। তারপর যা হল, আমার মাকেও এরা ছাড়ল না, মানুষ কারও মাকে নিয়ে এমন নোংরামির করতে পারে? সবাই এখন বলবেন, এসব পাত্তা দিও না। আমি একমুহূর্তের জন্যও এসব পাত্তা দেই না। কারণ, আমাকে প্রতিদিন গালি খেতে হয় আমি জানি। এই ফেসবুক কিছু জঘন্য মানসিকতার মানুষের আস্তানা হয়ে যাচ্ছে। আর আমরা চুপ আছি। সাইবার ক্রাইম কেন দুই একটাকে শাস্তি দেয় না, আমি বুঝি না।’

এদিকে, মা দিবস জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীও তার মায়ের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের মুখে পড়েন তিনি। ভাবনা সে বিষয়টি তুলে ধরে এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, ‘আমার হাতা কাটা ব্লাউজ নিয়ে তাদের কথা, আমার মা কেন টিপ পরল, আমার মার ওড়না দেখা যাচ্ছে না কেন? এরাই ধর্ষক। এরা অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর মাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। তবে একটা জিনিস আজকে পরিস্কার হলাম। আমাকে নিয়ে আমার কলিগরা কোনদিন কোনো প্রতিবাদ করেননি। আমাকে প্রতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন হেয় করা হয়, তারা চুপ থেকেছেন।

আজকে ভালো লাগছে যে, চঞ্চল ভাইয়ের জন্য হলেও তারা প্রতিবাদ করছে। কারণ প্রতিবাদ করাটা জরুরি। শিল্পীরা ইগনোর করে না, বয়কট করে না, তারা প্রতিবাদ করতে জানে। আমাদের মাদেরকেও যারা বাজে বলতে ছাড়ে না, তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হোক। সাইবার ক্রাইম প্লিজ।’

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading