ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানীতে বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের মিছিল থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমানের ভার্চুয়াল আদালত শুনানি শেষে তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিন মতিঝিল থানা এলাকায় মোদিবিরোধী মিছিলে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

এ সময় রফিকুল ইসলাম কারাগারে ছিলেন। তাকে ভার্চুয়ালি আদালতে উপস্থিত দেখানো হয়। এরপর আদালত এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে তার ১০ দিনের রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষ বিচারক তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২৫ মার্চ মোদিবিরোধী মিছিলে সংঘর্ষের ঘটনার সময় পুলিশ তাকে আটক করে। এর কিছু ক্ষর পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এরপর গত ৮ এপ্রিল নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটকের পর গাছা থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে র্যা ব। এ সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এরপর থেকে তিনি কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একই আইনে গাজীপুরের বাসন থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ২৫ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে আরও বেশ কয়েকটি সংগঠনের কর্মীরা অংশ নেন।

পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করতে চাইলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। মিছিলকারীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।

এ ঘটনায় ২৬ মার্চ দিবাগত রাতে মতিঝিল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।

এর আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গাজীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ‘শিশুবক্তা’ রফিকুলের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। পরে রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই রিমান্ড শেষে তিনি কারাগারেই ছিলেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading