রাজধানীর বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে বেসরকারী বিশ^বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামির জামিনে মুক্তির প্রেক্ষিতে মামলাটির ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আরও দীর্ঘসূত্রিতার আশংকা করে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ এক বিবৃতিতে সংস্থাটি এই উদ্বেগ জানিয়ে ব্যাপক আলোচিত এ মামলার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানায়। জামিনের অব্যবহিত পূর্বে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকের বদলির সংবাদে জনমনে গভীর উদ্বেগ ও প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়া স্বাভাবিক বলে মনে করছে টিআইবি। একই সাথে এ প্রেক্ষিতে এ মামলার ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথে এ ধরণের কোন অন্তরায় প্রতিহত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “আদালতে চার্জ গঠনের পর প্রায় দেড় বছর পার হলেও এ মামলার বিচার নিষ্পত্তি না হওয়া উদ্বেগজনক। মামলার বিচারকাজে দীর্ঘসূত্রিতার সুযোগে সম্প্রতি এ মামলার প্রধান আসামিকে বিশেষ বিবেচনায় জামিন দেয়া হয়েছে। অথচ মামলার ধরণ অনুযায়ী ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলাটির বিচারকাজ শেষ করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই বিচার নিষ্পত্তিতে এই দীর্ঘসূত্রিতা ও প্রধান আসামীর জামিন প্রদান ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কতটা সহায়ক সে প্রশ্ন থেকেই যায়।” ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “বিশেষ করে আমরা উদ্বিগ্ন এ কারণে যে, গণমাধ্যম সূত্রের তথ্য অনুযায়ী এ বছরের মাঝামাঝি এ মামলার বিচারিক আদালত পরিবর্তন হয়েছে এবং অতি সম্প্রতি মামলার প্রধান আসামির জামিনের অব্যবহিত পূর্বে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারককে বদলি করা হয়েছে। এরকম বাস্তবতায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। বিচারকের বদলি ও তার অব্যবহিত পরই জামিনের ঘটনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার ঘাটতির পরিচায়ক বলেও মনে করছে টিআইবি।” অবিলম্বে এ মামলার বিচারকাজ শেষ করে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “টিআইবি এর আগেও উক্ত ধরণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ন্যায় বিচার দাবি করেছে। তারই প্রেক্ষিতে এ মামলার ন্যায় বিচারের দাবির পাশাপাশি স্বর্ণখাতের গুরুত্ব বিবেচনায় সরকারের সাথে যৌথ প্রক্রিয়ায় স্বর্ণনীতিমালা তৈরিতে অংশীজন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যেটির মূল উদ্দেশ্য ছিল এ খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। কিন্তু এ খাত সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনের গুরুতর অপরাধ বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা যেমন আইনের শাসনের ব্যত্যয় এবং একটি ব্যাপক আলোচিত ও নারকীয় ধর্ষণ মামলার সুষ্ঠু বিচারিক প্রক্রিয়ার অন্তরায় তেমনি সামগ্রিকভাবে স্বর্ণখাতের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অন্তরায় হবে বলে মনে করে টিআইবি।”

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading