facebook sharing button
messenger sharing button
whatsapp sharing button
twitter sharing button
linkedin sharing button

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাসায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। তিনি বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীনদের গুন্ডারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় আমাদের বাসা লক্ষ্য করে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করেছে। ’

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর শাহজাহানপুরের নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন আব্বাসপত্নী।

তিনি বলেন, সকালে একটি মোটরসাইকেলে কালো পোশাক পরা, মাথায় কালো হেলমেট পরা এক ব্যক্তি গেটের সামনে থেকে বাসায় ককটেল ছুড়ে মারে। এসময় বিকট শব্দ হয়। এর আগেও র‍্যাবের সদস্যরা আমার বাসায় হামলা চালায়। আমরা পুলিশকে কল করি, তারা দ্রুত আসলেও নাশকতাকারী কাউকে ধরার কোনো চেষ্টা করেনি।

বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাবন্দি বিএনপির অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা মির্জা আব্বাস। তার অনুপস্থিতিতে তার বাসায় হামলা চালানো হয়েছে।

এই হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দোষারূপ করে আব্বাসপত্নী বলেন, এখানে প্রশাসনের সহযোগিতায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। তারা মির্জা আব্বাসকে মেরে ফেলতে চায়। কারণ মির্জা আব্বাস মারা গেলে মতিঝিল, পল্টন এলাকা তাদের আওতায় থাকবে। কিন্তু আব্বাস তো জেলে। আজ আমার পরিবারের লোকজন বা বাসার স্টাফরা মারা যেতে পারত।

এমন নাশকতার ঘটনায় মামলা করতে গেলে থানা কোর্ট মামলা নেয় না অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের জীবনে নিরাপত্তা চাই। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা। আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।

সকালে এক বিবৃতিতে বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, একটি ককটেল বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়, অপর একটি ককটেল অবিস্ফোরিত থাকে। এ সময় পুরো বাড়ি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। তিনি জানান, মুহূর্তের মধ্যে বাসায় অবস্থান করা মির্জা আব্বাসের নিরাপত্তা কর্মীরা দৌড়ে গেলে মোটরসাইকেলটি নিরাপদে চলে যায়। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীরা বাসার গেটের সামনে গিয়ে ৬ থেকে ৮ জন পুলিশকে বহন করা ৩ থেকে ৪টি মোটরসাইকেল অবস্থান করতে দেখেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.