সম্প্রতিই কৌন বনেগা ক্রড়োরপতি-র হট সিটে বসতে দেখা গেল এক বাঙালি কন্যেকে। অমিতাভের সঙ্গে কুইজ শো-তে অংশ নিয়েছিলেন অলোলিকা। আর বাঙালি কন্যেকে সামনে পেয়ে বেশ মস্করার মেজাজেই দেখা দিলেন বিগ বি।

৮০, ০০০ টাকার জন্য ৮ নম্বর প্রশ্নে প্রথম লাইফলাইন ব্যবহার করেন তিনি। দ্বিতীয় লাইফলাইন ব্যবহার করেন ১ লাখ ১৬ হাজার টাকার প্রশ্নে। আর যা ছিল কোন অভিনেতাকে পর্দায় ব্যোমকেশ হিসেবে দেখা যায়নি। অপশনে ছিল উত্তম কুমার, সুশান্ত সিং রাজপুত, রজত কাপুর, রাজেশ খান্নার নাম। এই সময় ফোনো ফ্রেন্ড বেছে নেন। এবং রাজেশ খান্নার নাম বলে জিতে নেন অর্থরাশি।

এরপর অমিতাভ পরের প্রশ্নটি করতে উদ্যত হলেই, অলোলিকা বলে বসেন, ‘এই প্রশ্নের পর আমার কাজ শেষ। বাড়ি যাব।’ এমন কথা শুনে হতবাক হয়ে যান অমিতাভও। কারণ তিনি জন্মে দেখেননি কোনও প্রতিযোগী কোটি টাকার হাতছানি ছেড়ে বাড়ি যেতে চাইছে।

বিগ বি শো-তে হাজির থাকা দর্শকদের বলেন, ‘আমি দর্শক ও শ্রোতাদের জিজ্ঞাসা করতে চাই, আপনারা কি আজ পর্যন্ত এমন কোনও প্রতিযোগীকে দেখেছেন যিনি খেলা ছেড়ে যেতে চান? আপনি সত্যিই অবিশ্বাস্য! লোকেরা এখানে আসতে এবং এখান থেকে সর্বাধিক অর্থ উপার্জন করতে কঠোর সংগ্রাম করে। আর আপনি তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে চাইছেন।’

তবে দমার পাত্রী নন অলোলিকাও। জবাব দেন, ‘আমি মনে করি আপনার সামনে বসার সুযোগ পাওয়া মানেই সে কোটিপতি। আপনি কোটিতে একজন। তাই আপনার কাছে আসা মানেই কোটিপতি।’

বাক্যহারা অমিতাভ এরপর মেনেই নেন যে বাঙালি বিশেষ করে বাঙালি কন্যেদের সঙ্গে তর্ক করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। বর্ষীয়ান অভিনেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘বাঙালিদের সঙ্গে কখনোই তর্ক করা উচিত নয়।’ যাতে অলোলিকা খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে তাই না?’

যাতে বিগ বি ফাঁস করেন, ‘আমার ঘরের অবস্থা আমিই জানি। পুরো এরকমই অবস্থা। কখনো বাঙালির সঙ্গে তর্ক করা উচিত নয়। ফট করে জবাব দিয়ে দেবে। উলটে আপনার উপরই কিছু হয়তো চিপকে দেবে।’ প্রসঙ্গত, ১২ লাখ ৫০ হাজার জিতেছেন আলোলেখা কেবিসি থেকে।

১৯৭৩ সালের জুন মাসের ৩ তারিখে অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে বিয়ে হয় জয়া ভাদুড়ির। ‘জঞ্জির’ ছবিতে কাজ করছিলেন অমিতাভ আর জয়া একসঙ্গে। সিনেমা হিট হলে ছবির সকলে লন্ডন যাবেন, এমন পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি বিগ বি-র পরিবার। বিয়ের আগে কোনও মেয়ের সঙ্গে ছেলেকে ছাড়তে রাজি ছিলেন না তাঁরা। আর তাতেই হুট করে তাঁরা নিয়ে নেন বিয়ের সিদ্ধান্ত।

আজকার নিজের ‘রাগী স্বভাব’-এর কারণে প্রায়ই চর্চায় আসেন জয়া। বিশেষ করে পাপারাজ্জিদের দেখলেই যেন তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন। শুধু তাই নয়, আজকাল তো শোনা যাচ্ছে বৌমা ঐশ্বর্যর সঙ্গেও নাকি একেবারে বনিবনা হচ্ছে না তাঁদের। অভিষেকের সঙ্গে রাই-সুন্দরীর ডিভোর্সের খবর তো এখন হট টপিক !

সুত্র, হিন্দুস্তান টাইমস ।

 

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.