জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় বিএনপির

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে শুভেচ্ছাবিনিময় করেছেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জন্মাষ্টমীর এই অনুষ্ঠান হয়। লন্ডন থেকে স্কাইপে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের পবিত্র গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান। এতে ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশন ও ইসকন মন্দিরের পুরোহিতগণ এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের নেতারা অংশ নেন।
জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। ১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। তখন আমাদের লক্ষ্য ছিল একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র করব। আজকে সেই গণতন্ত্রকে ওরা ধ্বংস করে দিয়েছে, আমাদের অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে।’
ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘এরা পার্লামেন্ট ধ্বংস করেছে, এরা জুডিশিয়ারি ধ্বংস করেছে, এরা প্রশাসনকে ধ্বংস করেছে, এরা গণমাধ্যমকে ধ্বংস করেছে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবার জন্য। এক ব্যক্তির শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবার জন্য তারা সমস্ত কিছু ভেঙে চুরে দিচ্ছে। ঠিক দানব যেভাবে সবকিছু তছনছ করে দেয়- এরা আজকে সমস্ত বাংলাদেশকে তছনছ করে দিচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা শুধু বিএনপির আন্দোলন নয়, এটা সমস্ত মানুষের আন্দোলন। বাংলাদেশের মানুষ আজকে তাদের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য, প্রতিটি মানুষের নাগরিক অধিকারকে রক্ষা করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তারা বলছেন, একদফা দাবি অর্থাৎ শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকার ও নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নতুন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যাতে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে পারে- সেই ধরনের একটি সরকার তৈরি করতে হবে। আসুন সেই লক্ষ্যে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, নিতাই রায় চৌধুরী, গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি মন্ডল, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার, মহাসচিব তরুণ দে, দলের কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্ত কুন্ডু, আবদুল বারী ড্যানি, অমলেন্দু দাস অপু, সুশীল বড়ুয়া, রমেশ দত্ত, দেবাশীষ রায় মধু, মিল্টন বৈদ্য, মিতালী চক্রবর্তী, সাবেক ছাত্রনেতা সুরঞ্জন ঘোষ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পরে জন্মাষ্টমীর প্রসাদ দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।