রাজনৈতিক ‘গুরুকে’ হারিয়ে অঝোরে কাঁদলেন রব

facebook sharing button
messenger sharing button
whatsapp sharing button
twitter sharing button
linkedin sharing button
print sharing button

বাংলাদেশের রাজনীতির রহস্য পুরুষ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খানের প্রথম জানাজা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেই জানাজায় অংশ নেন তার রাজনৈতিক শিষ্য হিসেবে পরিচিত জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।

জানাজা শেষে সিরাজুল আলমের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অঝোরে কেঁদেছেন আ স ম রব। গণমাধ্যমে সঙ্গে কথা বলার সময় কেঁদে কেঁদে তিনি বলেন, সিরাজুল ইসলাম শুধু তার পরিবারের ও সমাজের সম্পত্তি ছিলেন না। তিনি ১৮ কোটি মানুষের সম্পদ ছিলেন।

আমার সব শরীর অবস হয়ে গেছে। আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। মা-বাবাকে হারিয়েছি। কিন্তু আজকে সিরাজুল আলম খানকে হারিয়ে বর্তমানে আ স ম আব্দুর রব পৃথিবীতে থেকেও নেই।
সিরাজুলের অসিয়ত তুলে ধরে রব বলেন, উনি বলেছেন মায়ের পুরান কাপড় বেড়িয়ে যেন তাকে দাফন করা হয়। এটা আমরা মেনে নেব কিনা, আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমি বাসা থেকে আসার পর বারবার বলা হয়েছে, আমি যেন ইমোশনাল না হয়ে পড়ি। আমার জীবনে ইমোশন বলে কিছু নেই। আমি ইমোশনকে প্রশ্রয় দিই না। আমি চার-পাঁচবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি। তাতে কিছু হয়নি। কিন্তু সিরাজুল আলম খানকে হারিয়ে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ আজ কী করবে তা আমি জানি না । আমাদের ঋণ কীভাবে পরিশোধ করব তার কাছে।

কেঁদে কেঁদে জাতীয় এই নেতা আরও বলেন, এই জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা, বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হতে পারে তৃতীয় জাগরণ। ২১ ফেব্রুয়ারির পরে এটি উনি চিন্তা করেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর সিরাজুল ইসলাম খান বাঙালির তৃতীয় জাগরণ বইয়ে লিখেছেন। দেশের উদ্দেশ্য বলেছেন, যারা দল করে না, তাদেরও সঙ্গে নিয়ে সাংবিধানিক সুযোগ রেখে অংশীদারত্বপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা ।

এদিকে জানাজায় অংশ নিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জনসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.