“ফ্রান্সে মাতৃভাষা স্মরণে ভাষা ও সাংস্কৃতিক মেলা”

গতকাল ৪ জুন ২০২৩ রবিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় উবারভিলিয়ে শহরের ভাষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং মেরির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ভাষা ও সাংস্কৃতিক মেলা। এই শহরের ৫৭টি ভিন্ন ভাষাভাষির জনগোষ্ঠি এই ভাষার মেলায় অংশ নেন। ২০১১ সালে উদীচী ফ্রান্স সংসদের উদ্যোগে ৫টি ভাষাভাষির জনগোষ্ঠিকে সাথে নিয়ে ৫২ মহান ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মরণে এবং আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে এই আয়োজন শুরু করে স্থানীয় একটি হলে ।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১২ ও ২০১৩ উদীচীর একক উদ্যোগে এই আয়োজন হলেও ২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত মেরি ও উদীচী ফ্রান্স সংসদ যৌথভাবে এই আয়োজন করে আসছিলো উবারভিলিয়ে শহরের বিপুল সংখ্যক ভাষাভাষি জনগোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে। ২০১৭ সাল থেকে আয়োজনের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পাওয়ায় শররের মেরি ফ্রান্স উদীচীকে উদ্যোক্তা হিসেবে রেখে শহরের অন্যান্য সকল জাতীগোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে ভাষার ও সাংস্কৃতিক এই মেলা বৃহৎ আঁকারে শুরু করে। ভাষা ও সংস্কৃতি মেলার উদ্বোধন করেন উবারভিলিয়ে শহরের মেয়র Madame Karine Franclet।
ভাষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রেসিডেন্ট কার্লোস সামদুর পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্স উদীচীর সভাপতি কিরণময় মণ্ডল সহ শহরের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্থরের জনগন। ভাষা ও সাংস্কৃতিক মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদীচী ফ্রান্স সংসদ এবং বাংলা ভাষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ছাত্রছাত্রীরা ’৫২ ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মরণে ‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ সংগীত পরিবেশন করেন। এর পাশাপাশি শিল্পীরা আরও একটি গান ও দুটি নৃত্য পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানের সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন বাংলা ভাষা সাংস্কৃতিক কেন্দের শিক্ষক ও উদীচী ফ্রান্স সংসদের সহ সভাপতি রোজী মজুমদার এবং নৃত্য পরিকল্পনা এবং পরিচালনায় ছিলেন বাংলা ভাষা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিক্ষক ও উদীচী ফ্রান্স সংসদের নৃত্য বিভাগের নির্বাহী সম্পাদক জি এম শরিফুল ইসলাম। এই আয়োজনে চলতি বছর ২০২৩ সালে ৫৭টি ভাষাভষির জনগোষ্ঠী অংশ নেয়। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা নিয়ে শহরের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ছোট ছোট স্টলের মাধ্যমে তাঁদের দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি ভাষার মেলার আগত সবার সামনে তুলে ধরেন। উদীচী ফ্রান্স সংসদ তাদের নিজস্ব স্টলের দেশে সংস্কৃতি বহন করে এমন পণ্যের সমাহার করে বিদেশীদের মাঝে বাংলাদেশকে তুলে ধরেন।
রাকিবুল ইসলাম, শুদ্ধস্বর ডটকমের ফ্রান্স প্রতিনিধি ।