
তসলিমা নাসরিন একজন বাংলাদেশি লেখিকা ও প্রাক্তন চিকিৎসক, যিনি ১৯৯৪ সাল থেকে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গি বিশেষ করে ইসলাম ধর্মের সমালোচনার কারণে ২০ শতকের শেষের দিকে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরব এই লেখিকা। সমসাময়িক নানা ইস্যু নিয়ে তিনি তার মতামত ফেসবুকে শেয়ার করেন।
দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ইস্যু বিশেষ করে সামাজিক প্রেক্ষাপট, ধর্মসংক্রান্ত ইস্যু, সিনেমা দেখা, বেড়ানো, পোশাক, অসুস্থ হওয়ার খবর প্রভৃতি আরও নানা বিষয় স্থান পায় তসলিমা নাসরিনের পোস্টে। সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে নিজের বেঁচে থাকার কারণ নিয়ে একটি পোস্ট করেন তিনি।
পোস্টে তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, ‘দুটো কারণে আমি আমার মতো বেঁচে থাকতে পেরেছি। এক, নিজের টাকা নিজে কামিয়েছি। দুই, কোনো স্বামীর সঙ্গে সংসার করিনি।’
আজ মঙ্গলবারও নিজের জীবন নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন তসলিমা নাসরিন। এতে তিনি লিখেছেন, ‘এ জীবনে আমি যাদের খুব ভালোবেসেছি, তারা আমাকে কেউই ভালোবাসেনি। হয়তো খানিকটা বেসেছে, তবে আমার মতো উজাড় করে নয়।
যারা আমার বাঁধন ছেড়ে যেতে চেয়েছে, তাদের আমি চিরকালই নির্বিঘ্নে যেতে দিয়েছি। আমি কষ্ট পেলেও তাদের কষ্ট পেতে দিইনি। এ রকমও হয়েছে, কেউ আমাকে খুব ভালোবাসছে, অথচ আমি লক্ষ্যই করিনি। কখনো লক্ষ্য করলেও আদিখ্যেতা ভেবে সরে গেছি।
পৃথিবীতে পথ চলতে চলতে নানা রকম মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে, কারও কারও সঙ্গে বন্ধুত্বও হয়েছে। প্রতিবারই মনে হয়েছে এই বন্ধুত্ব চিরকালের। অথচ একসময় যে যার মতো যে যার স্রোতে ভেসে গেছি। খড়কুটোর মতো জীবন। ভেসে ভেসে কে জানে কোথায় যায় কতদূর যায়।’
উল্লেখ্য, তসলিমা নাসরিন ১৯৮২ সালে কবি রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর প্রেমে পড়েন এবং তাকে বিয়ে করার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে ১৯৮৬ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
এরপর সাংবাদিক ও সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খানকে বিয়ে করেন এই লেখিকা। ১৯৯১ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
ওই বছরই অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক বিচিন্তার সম্পাদক মিনার মাহমুদকে বিয়ে করেন তসলিমা নাসরিন। কিন্তু সে বিয়েও টেকেনি তার, ১৯৯২ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।