
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিভিন্ন শারীরিক উপসর্গ নিরসন করে সুস্থ রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড জাহিদ হোসেন। বৃহস্পতিবার রাতে খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজায় পৌঁছার পর তার শারীরিক অবস্থা সাংবাদিকদের অবহিত করেন তিনি।
ডা. জাহিদ বলেন, টোটাল হাইপার টেনশন কমানোর জন্য খালেদা জিয়াকে কিছু মেডিসিন দেয়া হয়। সেই মেডিসিনগুলো উনি আগে থেকেই পাচ্ছেন। এখনও পাচ্ছেন। কিন্তু এটাকে সার্জিক্যালি মানিপুলেট করার সুযোগ আছে। সেটা এখানে করার সুযোগ নেই। এটা ওনার মতো একজন রোগী, যার বয়স ৭৭, যার এতোগুলো অর্গানের মধ্যে অসুস্থতা রয়েছে, সেটাকে মাথায় রেখে চিকিৎসা করতে হলে মাল্টিডিসিপ্লিনারি অ্যাডভান্স সেন্টারে করতে হবে, যেখানে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার সুযোগ রয়েছে। সেখানে চিকিৎসা করলে রোগীর যে মূল সমস্যা তার সেবা দেয়া যাবে। এই সুবিধার জন্য তাকে বিদেশে নিতে হবে।
তিনি বলেন, গত ২৯শে এপ্রিল ম্যাডামের কিছু উপসর্গের কারণে ষষ্ঠবারের মতো এভারকেয়ার হাসপাতালে পরীক্ষা করানোর জন্য যান। সেখানে রিপোর্টগুলো থেকে মেডিকেল বোর্ড তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেয়।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার হার্টে যেহেতু ব্লক রয়েছে, আরও ছয় মাস আগে মাত্র একটি ব্লকের চিকিৎসা করানো হয়েছিল।
বাকি দুইটি ব্লক এখনও রয়ে গেছে। এছাড়া লিভারের সমস্যা সমাধান ও উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য বলা হয়েছিল। আগেও চিকিৎসকরা তাকে মাল্টিডিসিপ্লিনারি অ্যাডভান্স সেন্টারে চিকিৎসার কথা বলেছিলেন। এভার অ্যান্ড্রোসকপি করার পর একই কথা বলেছেন। সেটা হলে তার লিভার জটিলতা কমবে, হাইপার টেনশন কমবে ও শারীরিকভাবে সুস্থ বোধ করবেন। এখন আবার আগের মতো বাসায় রেখে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলবে বলে জানিয়েছেন ডা. জাহিদ।