
স্বর্ণ চুরির অভিযোগে জুলহাস ও বিল্লাল হোসেন নামে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সাভার ও চাঁদপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে জুলহাসের শ্বশুর আলাউদ্দিন জামাইয়ের চুরি করা স্বর্ণ বিক্রি করতেন। তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
দুই ভাইকে গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে এক জোড়া হাতের চুরি, এক জোড়া কানের দুল, একটি চেইন এবং রূপান্তরিত স্বর্ণসহ মোট ৮ ভরি ১০ আনা স্বর্ণ এবং বিভিন্ন ধরনের চাবি, রেঞ্জসহ চুরি করার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মিরপুরের আহাম্মেদনগরে সিরাজুম মুনীরা নামে একজনের বাসার তালা ভেঙে আনুমানিক ২৪ ভরি স্বর্ণ এবং নগদ ৬০ হাজার টাকা চুরি করা হয়। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জুলহাস-বিল্লালকে এ চুরির ঘটনায় জড়িত বলে শনাক্ত করা হয়। গতকাল সাভারের গেণ্ডা বাস স্টেশন থেকে বিল্লাল এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদপুরের মতলব থেকে জুলহাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া চোরাই স্বর্ণ রাখার অভিযোগে লিটন বর্মণ নামের এক স্বর্ণ দোকানিকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি জানান, জুলহাস ও বিল্লাল ভোলার লালমোহন উপজেলার বাসিন্দা। ২০০৮ সাল থেকে তারা চুরি। তখন থেকে আজ ১৫ বছর ধরেই চুরি করছেন। এ পর্যন্ত তারা দুই শতাধিক চুরি করেছেন বলে জানিয়েছেন। চুরি করেই তারা এক জেলা থেকে অন্য জেলায় চলে যান। ফলে অধিকাংশ ঘটনায় তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান। এতগুলো চুরি করলেও তারা মাত্র ১০ বার ধরা পড়েছেন। সহজে বহনযোগ্য বলে জুলহাস বিল্লাল শুধু স্বর্ণ ও নগদ টাকা চুরি করেন।
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, প্রতিবার চুরি করার পরপরই শ্বশুর বাড়ি চাঁদপুরের মতলবে চলে যান জুলহাস। জামাইয়ের এই চুরির কথা জানলেও তার শ্বশুরন বাধা না দিয়ে উল্টো সহযোগিতা করেন জামাইকে। জামাইয়ের চুরি করা স্বর্ণ তিনি বিক্রি করে দিতেন। মিরপুর থেকে চুরি করা স্বর্ণও শ্বশুরের হাতে তুলে দেন জুলহাস। সেই স্বর্ণ চাঁদপুর উত্তর মতলবের ছেঙ্গারচর বাজারের একটি স্বর্ণের দোকানে বিক্রি করেন আলাউদ্দিন। অভিযান চালানোর সময় জুলহাস গ্রেপ্তার হলেও পালিয়ে যান আলাউদ্দিন।