
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আমরা আন্দোলনে আছি; এই আন্দোলন আমাদের শেষ করে আনতে হবে। এ জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হয়, তত দেশের জন্য মঙ্গল। এই সরকার একদিন ক্ষমতায় থাকলে যে ক্ষতি হচ্ছে, তা এক বছরে পূরণ করা সম্ভব নয়।’
আজ বুধবার ঢাকার নবাবগঞ্জে জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, নাজিম উদ্দিন মাস্টার, তমিজ উদ্দিন, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।
এই সরকারের অবস্থা ভালো নয় উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এই সরকার আছে আইসিইউতে। খুব তাড়াতাড়ি কোমায় যাবে। তাই তারা জোরে জোরে ধমক দেয় এবং বলে আন্দোলনকে ভয় পাই না। তার মানে এই সরকার ভয়ে অস্থির। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে একটা ধাক্কা দিতে পারি তাহলে এই সরকার টিকবে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘আমার রাজনীতির বয়স প্রায় ৬২ বছর। এই জীবনে এই রকম সেরা সরকার আগে দেখিনি। এই সরকার সব খারাপের দিক দিয়ে সেরা। মিথ্যা কথা বলা, ভোট ডাকাতি, খুন ও দুর্নীতিতে সেরা। ভালো কাজ করার তৌফিক এই সরকারকে দেয় না।’
গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলে ভোট চোরদের মানুষ পছন্দ করে না- তাদের মুখে এ কথা শুনলে হাসি পায়। ৭৪-৭৫ সালে কম্বল চুরি, ব্যাংক ডাকাতিতে ব্যস্ত ছিল। এখন ভোট ডাকাতি করে এই আওয়ামী লীগ।’