নিঃসঙ্গ তরুণদের মাসে ৫০০ ডলার করে দেবে দ. কোরিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ার তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশই সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নিজের মতো একাকী ও নিঃসঙ্গ জীবনকে বেছে নিয়েছেন তারা। তবে তাদেরকে আবারও সমাজের সঙ্গে যুক্ত করতে এবার অভিনব একটি পদ্ধতি গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার। এসব তরুণদের প্রতি মাসে ৫০০ ডলার করে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের বিশ্বাস, এই অর্থ তাদেরকে সামাজিক সম্পর্ক ও বন্ধনে ফিরে আসার ব্যাপারে উৎসাহী করে তুলবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ ৫৩ হাজার টাকারও বেশি।
সিএনএন জানিয়েছে, শুক্রবার দেশটির লিঙ্গ সমতা ও পরিবার বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, অনিয়মিত জীবনযাপন ও যথাযথ পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ না করায় একাকী ও নিঃসঙ্গ তরুণ-তরুনীরা সুস্বাস্থ্যে অধিকারী হতে পারছেন না। শারীরিক স্বাস্থ্যগত নানা জটিলতা তাদের মনের ওপর প্রভাব ফেলছে। অনেকেই অবসাদগ্রস্ত হয়ে সামাজিক সম্পর্ক ও বন্ধনগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার ৩.১ শতাংশ তরুণকে নিঃসঙ্গ ও একাকি বলে চিহ্নিত করেছে সরকার। এই মানুষেরা দীর্ঘদিন ধরে কোনো প্রকার পারিবারিক, সামাজিক ও মানসিক বন্ধনে নেই।
এখন তাদেরকে সমাজে ফিরিয়ে এনে স্বাভাবিক জীবন দিতে চায় সরকার। দেশটিতে এমন প্রায় ৩ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ রয়েছে। এসব মানুষ কেনো নিঃসঙ্গতাকে বেছে নিয়েছে তার একাধিক কারণ রয়েছে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে, আর্থিক সমস্যা, মানসিক অসুস্থতা, পারিবারিক সমস্যা ও স্বাস্থ্যগত চ্যালেঞ্জ।
দক্ষিণ কোরিয়ার লিঙ্গ সমতা ও পরিবার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটির ‘বৃহত্তর যুবকল্যাণ’ আইনের আওতায় দেয়া হচ্ছে এই মাসিক ভাতা। আপাতত বাসাবাড়িতে থাকা ৯ থেকে ২৪ বছর বয়সী শিশু, কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীকে দেওয়া হবে এই ভাতা। পরে আরও বিস্তৃত করা হবে এই প্রকল্প। প্রাথমিক পর্যায়ে যারা ভাতা পাবেন, অর্থ গ্রহণ করার জন্য তাদেরকে অভিভাবকদের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনিক কার্যালয়ে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন কর্মকর্তারা। লিঙ্গ সমতা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিবারের গড় মাসিক ব্যয়কে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ধরে নির্ধারণ করা হয়েছে ভাতার অর্থ।