জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ‘সংবিধান অনুযায়ী’ ভোটের কথা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের দোহাই দিয়ে রেহাই পাবেন না। সংবিধান আগে সংশোধন হোক বা পরে হোক, আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে।’

আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (জেটেব) উদ্যোগে ইফতার-মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতনের পর ঐক্যমতের ভিত্তিতে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে সরকার হয়েছে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘ওই সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছিল। পরবর্তীতে সংবিধান পরিবর্তন করা হয়েছে। যখন সংবিধানে ছিল না, বেগম খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানে যুক্ত করেননি? করেছেন, বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন, দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা, দেশ রক্ষার জন্য। চারটি নির্বাচন হয়েছে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের একটি যুক্তি তা হচ্ছে সংবিধান মোতাবেক নাকি নির্বাচন করতে হবে। তাদের কাজ হচ্ছে অন্যায়, অবিচার, নিপীড়ণ-নির্যাতন, গুম, খুন হত্যা করে ভয়ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করা। এসব কী সংবিধান অনুযায়ী করা হচ্ছে? সংবিধান কী শুধুমাত্র জনগণের ভোট কেড়ে নেওয়ার জন্য? ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করা- এটা সংবিধান লঙ্ঘন নয়? সংবিধানের দোহাই দিলে তা জনগণ মেনে নেবে না।’

আমীর খসরু বলেন, ‘একটি জায়গায় আটকে আছে বাংলাদেশ। সেই জায়গাটা হচ্ছে ভোটের অধিকার এবং এই জায়গাকে আটকানোর জন্য অনিয়ম, গুম, খুন, হত্যা, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন করছে। একজন সাংবাদিক শামসুজ্জামান রিপোর্ট করার কারণে তুলে নিয়ে গেছে। এর আগে সরকারি কর্মচারি সুলতানা জেসমিন র‌্যাব হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে। এর আগে লাখ লাখ নেতাকর্মীর মিথ্যা-গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। এসবের একটাই উদ্দেশ্য জোর করে ক্ষমতা দখল করবে। এই জন্যই এসব কাজ করছে সরকার।’

ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা রিয়াজ উদ্দিন নসু প্রমুখ

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.