
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মতামত পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। এছাড়া মুক্তির মেয়াদও ৬ মাস বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। আজ আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। নিয়মানুযায়ী, এটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর চূড়ান্তভাবে গেজেট প্রকাশ করবে সরকার।
এদিকে গত ৬ই মার্চ পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হয়। চলতি মাসের ২৪ তারিখ বর্তমান মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।
এর আগে গত রোববার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, পরিবারের আবেদন পেলে তারা তা বিবেচনা করবেন।
উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ও অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির দুটি মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই বছর কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫শে মার্চ খালেদা জিয়াকে দুটি শর্তে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। যে দুটি শর্তে নির্বাহী আদেশে সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছে, তার প্রথমটি হচ্ছে খালেদা জিয়াকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয়টি হলো তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। এরপর ছয় বার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ২৪শে মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।